কর্ণফুলীর জুলধায় নিষিদ্ধ সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের মিছিলের ঘটনায় প্রায় তিন মাস পর আলাউদ্দিন নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার সকালে জুলধা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। যাচাই–বাছাই শেষে রবিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ শরীফ। গ্রেপ্তার মো. আলাউদ্দিন জুলধা ৮ নং ওয়ার্ডের কালা মিয়ার বাড়ির আবদুল মান্নানের ছেলে। তবে মামলার এজাহারে ১০ নম্বর আসামি হিসেবে নাম এসেছে ‘আলা উদ্দিন নাবিল’, পিতা মনা সওদাগর, জুলধা ৭ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা। এতে গ্রেপ্তারকৃতের প্রকৃত পরিচয় নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
কর্ণফুলী থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মো. রফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, এজাহারে নাম ভুল থাকলেও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সংশোধনের এখতিয়ার রাখেন। পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ১৬ মে রাতে নিষিদ্ধ সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও নাশকতার উদ্দেশ্যে জুলধা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডে জুলধা ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের পাশে ইউসুফ সাহেবের বালুর মাঠে মিছিল বের করে। লাঠিসোঁটা হাতে স্লোগান দিয়ে তারা জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। রাত ১১টা ২০ মিনিটে ওসি মোহাম্মদ শরীফের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে প্রায় ৩০–৩১ জন মিছিলকারী দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে ৯টি লাঠি উদ্ধার করা হয়। পুলিশের দাবি, আলাউদ্দিন ওই মিছিলে সরাসরি অংশ নিয়েছিলেন। ঘটনার পর কর্ণফুলী থানার এসআই জুয়েল মজুমদার বাদী হয়ে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ৬(২)/৮/৯/১০ ধারায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় ১৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ১৪–১৫ জনকে আসামি করা হয়। অন্যদিকে, গ্রেপ্তারকৃতের পরিবারের দাবি– আলাউদ্দিন কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নয়, কোনো দলে তার কোনো পদ–পদবীও নেই। ‘মিথ্যা’ মামলায় ফাঁসানো হয়েছে তাকে। পুলিশ প্রকৃত পরিচয় জানার পরও যাচাই–বাছাইয়ের কথা বলে অদৃশ্য কারণে ১৪ ঘণ্টা পর তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে। ওসি মুহাম্মদ শরীফ বলেন, সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দায়ের হওয়া মামলায় আলাউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।