কর্ণফুলীতে ট্রাফিক পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় স্থানীয় ইউপি সদস্য আঙ্গুর মেম্বারসহ ১৮ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৪০ থেকে ৫০ জনকে আসামি করে কর্ণফুলী থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গত রোববার রাতে কর্ণফুলী ট্রাফিক জোনে কর্মরত সার্জেন্ট মো. তফছিরুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। গতকাল সোমবার বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেন কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহেদুল ইসলাম।
মামলার নামীয় আসামিরা হলেন, আব্দুল কাদের (২৫), মো. নাঈম উদ্দিন (২৭), মো. তৈয়ব (২৮), জোবাইদুল ইসলাম (২১), মো. নাঈম উদ্দিন (২২), মো. হানিফ (৩৫), মো. আরিফ (২৫), মো. জাবেদ (৩৪), মো. গিয়াস উদ্দিন (১৯), মো. শাহেদ (২৪), মো. ইকবাল হোসেন (৩৪), মো. ইকবাল হোসেন (২৭), মো. আব্দুর রহমান (৫২), মো. আব্দুল শুরুর (৩৩), মো. আব্দুল্লাহ (২০), তানভীর হোসেন (২৪), তৈয়বুল আলম ওরফে আঙ্গুর মেম্বার (৫২) এবং সোলেমান প্রকাশ টেম্পু সোলেমান (৫০)।
এছাড়া ঘটনায় আরও ৪০–৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, এখন পর্যন্ত আঙ্গুর মেম্বার ও সোলেমান প্রকাশ টেম্পু সোলেমান ছাড়া বাকি ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কর্ণফুলীর ফসিল ফুয়েল স্টেশন এলাকায় ট্রাফিক ডিউটি চলাকালে কাগজপত্র দেখাতে না পারায় ১১টি অন টেস্ট সিএনজি টেঙি জব্দ করেন ট্রাফিক সার্জেন্ট মো. ইমতিয়াজ শাহরিয়ার ভূঁইয়া, সালাউদ্দিন, মো. মজিবুর রহমান ও মোজাম্মেল। পরে জব্দ করা সিএনজিগুলো মামলা দিয়ে মনসুরাবাদ ডাম্পিংয়ে নেওয়ার সময় আসামিরা সংঘবদ্ধভাবে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে সার্জেন্ট মো. ইমতিয়াজ শাহরিয়ার ভূঁইয়া এবং কনস্টেবল সালাউদ্দিন গুরুতর আহত হন। পরে তাদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
কর্ণফুলী থানার ওসি মো. জাহেদুল ইসলাম জানান, ঘটনার পরপরই অভিযান চালিয়ে ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। পাশাপাশি অভিযানকালে একাধিক অবৈধ সিএনজি টেঙিও জব্দ করা হয়েছে।











