নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভায় দেশের নদী বন্দরগুলোর জন্য একটি আইন তৈরির সুপারিশ করা হয়েছে। সভায় কর্ণফুলী নদীতে বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় আরো সক্রিয় হওয়ারও সুপারিশ করা হয়েছে। কমিটির সভাপতি মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম, বীর উত্তমের সভাপতিত্বে গতকাল বুধবার সংসদ ভবনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
কমিটির সদস্য নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, শাজাহান খান, মাহফুজুর রহমান, এম আব্দুল লতিফ, মো. আছলাম হোসেন সওদাগর এবং এস এম শাহজাদা সভায় অংশগ্রহণ করেন। সভায় শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায়
মোংলাসহ সকল নদীবন্দর ও স্থলবন্দরে প্রকল্প গ্রহণ করে ট্রমাসেন্টার তৈরি করার সুপারিশ করা হয়। কমিটি শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে আন্তর্জাতিকমানের ‘সেফটি ড্রেস’ এর নীতিমালা ও প্রয়োজনীয় বিভিন্ন ধরনের মাস্ক সরবরাহের সুপারিশ করে। সভায় কর্ণফুলী নদীতে বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় আরো সক্রিয় হওয়ার সুপারিশ করে। কমিটি চট্টগ্রাম বন্দরে আমদানিকৃত বিস্ফোরক ও ঝুকিঁপূর্ণ, বিপজ্জনক রাসায়নিক পণ্য, কন্টেনারের সুরক্ষা, মনিটরিং এবং দ্রুত বন্দর থেকে অপসারণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে একটি নির্দিষ্ট কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করে। সেই কর্তৃপক্ষ একটি নির্দিষ্ট নীতিমালা প্রস্তুত করে সেটি প্রয়োগ করবে সেইসাথে পুরো কার্যক্রম তদারকি করবে। খবর বাসসের।
সভায় চট্টগ্রাম বন্দর ও মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রথম বৈঠক হতে ৪৬তম বৈঠক পর্যন্ত গৃহীত সুপারিশ/সিদ্ধান্তসমূহের বাস্তবায়ন/অগ্রগতি এবং বাস্তবায়নে সমস্যা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব, অতিরিক্ত সচিব, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ও মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় এবং সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ সভায় উপস্থিত ছিলেন।
