গত ২৫শে মে আজাদীর প্রথম পৃষ্ঠায় প্রকাশিত ‘কর্ণফুলীর বুকে পলিথিনের চর এবং ৩১ মে দখল দূষণ ভরাটে বিপর্যস্ত কর্ণফুলী’ সচিত্র প্রতিবেদনটি সত্যিই করুণ। দিন দিন কর্ণফুলী নদী শীর্ণ হচ্ছে। ভরাট, দখল দূষণে কর্ণফুলী নদীর বর্তমানে বেহাল অবস্থা। কর্ণফুলী নদী রক্ষণাবেক্ষণের অভাবেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির জন্য দায়ী বলে মনে করা হচ্ছে। কর্ণফুলী নদীতে বিশাল এলাকা জুড়ে জেগে উঠেছে বড় বড় চর। অনেকটা খেলার মাঠ এর মত ধু ধু বালু চর। আশংকাজনকভাবে মোহনার ও গভীরতা হ্রাস পেয়েছে। জোয়ারের সময় এসব চর ডুবে থাকলেও ভাটার সময় স্পষ্ট দেখা যায়। অব্যাহত নাব্যতা হ্রাসে জাহাজ চলাচল প্রচণ্ড ঝুঁকির মুখে। জেগে উঠা চরগুলো ক্রমশঃ চট্টগ্রাম বন্দরের দিকে বিস্তৃত হওয়ায় বন্দর চ্যানেল এখন হুমকির সম্মুখীন। হাজার বছরের ঐতিহ্য কর্ণফুলী নদীর নাব্যতা আশংকাজনক হারে হ্রাস পাওয়া থেকে রক্ষা করতে হলে স্থায়ীভাবে ড্রেজিং করতে হবে। এ ব্যাপারে সরকারের বলিষ্ঠ পদক্ষেপ প্রয়োজন। আজাদীতে প্রকাশিত আলোচ্য ছবি ও লেখাটি আদৌ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কিংবা সরকারের দায়িত্বশীল ব্যক্তির সুদৃষ্টি আকর্ষণ করবে কিনা জানি না।
এম. এ. গফুর, বলুয়ার দীঘির দক্ষিণ-পশ্চিম পাড় কোরবানীগঞ্জ, চট্টগ্রাম।