কর্ণফুলী ড্রাইডকসহ আশপাশের সকল স্থাপনা নির্মাণ অবৈধ

জেলা নদী রক্ষা কমিটির সভায় কমিশন চেয়ারম্যান

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ৬ মার্চ, ২০২৩ at ৬:১৩ পূর্বাহ্ণ

আনোয়ারায় কর্ণফুলী নদীর তীরে কর্ণফুলী ড্রাইডক লিমিটেডসহ আশপাশের সকল স্থাপনার নির্মাণ কাজ অবৈধ বলে ঘোষণা দিয়েছেন জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মনজুর আহমেদ চৌধুরী। একই সঙ্গে নগরের ফিশারিঘাটের মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রকেও তিনি অবৈধ বলে জানিয়েছেন। গতকাল জেলা

 

প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত জেলা নদী রক্ষা কমিটির বিশেষ সভায় তিনি এ ঘোষণা দেন। এ সময় তিনি কর্ণফুলী ড্রাইডক নির্মাণ কাজ বন্ধ করতে নির্দেশনা দেন।

উল্লেখ্য, গত বছরের ৯ নভেম্বর অনুষ্ঠিত এ সংক্রান্ত সভায়ও কর্ণফুলী ড্রাইডক নির্মাণ কাজ বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। ওই সভায় নির্দেশনা বাস্তবায়ন করে নদী রক্ষা কমিশনে রিপোর্ট প্রদানের জন্য চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসককে নির্দেশনা দিয়েছিলেন। জেলা প্রশাসক মো. আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের

সভাপতিত্বে গতকালের সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মাসুদ কামাল এবং পরিবেশ অধিদপ্তরসহ সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। সভায় উপস্থিত সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের একাধিক কর্মকর্তা দৈনিক আজাদীকে জানিয়েছেন, নদী কমিশনের চেয়ারম্যান সভায় উপস্থিত জেলা

প্রশাসন, পরিবেশ অধিদপ্তর, পানি উন্নয়ন বোর্ড, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট সরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধির কাছে পূর্বের সভার সিদ্ধান্তের অগ্রগতি জানতে চান। জেলা প্রশাসক সম্প্রতি কর্ণফুলী নদীর পাড়ের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করাসহ বিভিন্ন অগ্রগতি তুলে ধরেন।

সভায় উপস্থিত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সভাপতি ড. মো মঞ্জুরুল কিবরীয়া দৈনিক আজাদীকে বলেন, মিটিংয়ে অনেকগুলো এজেন্ডা ছিল। এর মধ্যে কর্ণফুলী নদীর বিষয়ে গুরুত্ব পেয়েছে। নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান কর্ণফুলী ড্রাইডক এবং মৎস অবতরণ কেন্দ্রকে ইলিগ্যাল বলেছেন। যদিও কর্ণফুলী ড্রাইডকের প্রতিনিধিরা বিভিন্ন যুক্তি তুলে ধরেছেন সভায়।

সভায় বন্দর ও কর্ণফুলী ড্রাইডকের কর্মকর্তারা বলেন, এই প্রকল্পে ৮৮ দশমিক ৮৮ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ আছে বিশ্ব ব্যাংকের। শত শত লোক এই প্রকল্পে কাজ করছে। এই অবস্থায় প্রকল্প বন্ধ হলে দেশের বিপুল ক্ষতি হবে। তখন নদী কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, গুগল ম্যাপ ও অন্যান্য তথ্য উপাত্ত

দিয়ে দেখিয়েছি আপনারা নদীর তীর ও সীমানা দখল করে ড্রাইডক করেছেন। আপনারা চাইলে আবার দেখাবো। এ সময় প্রশ্ন রেখে বলেন, নদী মরে গেলে তা সৃষ্ট করার সুযোগ কি আছে?

পূর্ববর্তী নিবন্ধএখন বাড়িতে যাবে তার পুড়ে যাওয়া লাশ
পরবর্তী নিবন্ধআমদানি-রপ্তানি নেমে এসেছে অর্ধেকে