জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও অর্থ পাচারের দুটি মামলায় কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের সাবেক উপ–মহাব্যবস্থাপক মো. আনিছ উদ্দিন আহমেদ শামীমের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। একই সাথে তার স্ত্রী ও মেসার্স রক প্রপার্টিজের চেয়ারম্যান কামরুন নাহার পলিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গতকাল চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ জেবুন্নেছা শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। দুদক পিপি মাহমুদুল হক আজাদীকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, দুটি মামলাতেই আসামিরা জামিনে ছিলেন। জামিনের মেয়াদ শেষ হলে আত্মসমর্পণ করে ফের জামিন চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত অসুস্থ বিবেচনায় শামীমকে জামিন দিয়ে তার স্ত্রীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আদালত সূত্র জানায়, গত ১৩ ও ১৪ ফেব্রুয়ারি মামলা দুটি দায়ের করেন দুদক প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. জাহিদ কালাম। ১৩ ফেব্রুয়ারির মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, আসামিরা পাবলিক প্রকিউরমেন্ট আইনের ৬৪(৩) ও ৬৩(৪) ধারা লঙ্ঘন করে নূর সিন্ডিকেট নামের প্রতিষ্ঠানের আড়ালে রক প্রপার্টিজ নামীয় নিজেদের নিয়ন্ত্রণাধীন ও মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ পাইয়ে দিয়ে নির্মাণ কাজে ৫ লাখ ৮৬ হাজার ৬৫৩ টাকা আত্মসাৎ করেন। এছাড়া ক্রয়কারী ও ঠিকাদার নিজেদের নামে বিভিন্ন ব্যাংকে যৌথ ও একক হিসাব খুলে ঘুষ দুর্নীতির মাধ্যমে উপার্জনকৃত ৯ কোটি ৯৩ লাখ ১৬ হাজার ৮৭৭ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন করেছেন।
আদালত সূত্র আরো জানায়, ১৪ ফেব্রুয়ারির মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, আসামিরা যোগসাজসে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ ১ কোটি ৮৫ লাখ ৮৪ হাজার ৯৪৪ টাকার সম্পদ অর্জনপূর্বক ভোগ দখলে রাখার অপরাধ করেছেন।
দুদক পিপি জানিয়েছেন, ১৩ ফেব্রুয়ারির মামলায় কর্ণফুলী গ্যাসের সাবেক উপ–মহাব্যবস্থাপক মো. আনিছ উদ্দিন আহমেদ শামীম ও তার স্ত্রী কামরুন নাহার পলি ছাড়া আরো দুজনকে আসামি করা হয়। তারা হলেন কর্ণফুলী গ্যাসের ঠিকাদার নেছার আহমদ ও নুর মোহাম্মদ।