চট্টগ্রামে জরুরি ভিত্তিতে কর্ণফুলী ও সন্দ্বীপ উপজেলা নির্বাচন অফিস ভবন (সার্ভার স্টেশন) নির্মাণের উদ্যোগে নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এ লক্ষ্যে জরুরি ভিত্তিতে জমি বরাদ্দ চেয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। প্রতিটি উপজেলা নির্বাচন অফিস ভবন (সার্ভার স্টেশন) নির্মাণের জন্য ১০ শতাংশ জমি প্রয়োজন বলে নির্বাচন কমিশনের চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে। বৃহত্তর চট্টগ্রামের কর্ণফুলী ও সন্দ্বীপ উপজেলা ছাড়াও কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলা এবং খাগড়াছড়ির গুইমারা উপজেলা নির্বাচন অফিস ভবন (সার্ভার স্টেশন) নির্মাণেরও উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন অফিস থেকে জানা যায়, চট্টগ্রামের জুবলি রোডস্থ নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব জমিতে চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন অফিস, চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন অফিস ও নগরীর থানা নির্বাচন অফিস ভবন (সার্ভার স্টেশন) রয়েছে। চট্টগ্রামে উপজেলা পর্যায়ে শুধুমাত্র কর্ণফুলী উপজেলা ও সন্দ্বীপ উপজেলায় নির্বাচন অফিস ভবন (সার্ভার স্টেশন) নেই। অন্যান্য সব উপজেলা গুলোতে নির্বাচন অফিস রয়েছে। ইতোমধ্যে মাঠ পর্যায়ে কর্ণফুলী, সন্দ্বীপ উপজেলা, কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলা এবং খাগড়াছড়ির গুইমারা উপজেলা নির্বাচন অফিস ভবনসহ ৩৫ কার্যালয়ের জন্য জমি চেয়ে ২৪ জেলা প্রশাসকে (ডিসি) চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। প্রতিটি উপজেলা নির্বাচন অফিসের প্রতিটির জন্য ন্যূনতম ১০ শতাংশ জমি প্রয়োজন বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
গত ৩ নভেম্বর ইসির গবেষণা ও প্রকাশনা শাখার উপ–প্রধান (উপসচিব) মুহাম্মদ মোস্তফা হাসানের সই করা এ সংক্রান্ত চিঠি থেকে বিষয়টি জানা গেছে। ইসির চিঠিতে বলা হয়েছে, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ বিভিন্ন স্থানীয় নির্বাচন, ভোটার তালিকা প্রণয়ন ও জাতীয় পরিচয়পত্রের বিভিন্ন সেবামূলক কার্যক্রমের জন্য বর্তমানে নির্বাচন অফিস ভবনসমূহ নির্মাণ করা অতি জরুরি হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় একটি আঞ্চলিক নির্বাচন অফিস, দুটি জেলা নির্বাচন অফিস ও ৩২টি উপজেলা নির্বাচন অফিস ভবন নির্মাণের জন্য ভূমি বরাদ্দ প্রয়োজন। আঞ্চলিক নির্বাচন অফিস, জেলা নির্বাচন অফিস ও উপজেলা নির্বাচন অফিস ভবন (সার্ভার স্টেশন) নির্মাণের লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের অনুকূলে দ্রুততম সময়ের মধ্যে ভূমি বরাদ্দের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে তা ইসি সচিবকে জানাতে বলা হয়েছে চিঠিতে।












