করোনায় লন্ডভন্ড চট্টগ্রামের ফুটবল লিগ সহ নানা ইভেন্ট

বহিরাগতদের পদচারনায় নষ্ট হচ্ছে অনুশীলন মাঠ

ক্রীড়া প্রতিবেদক | শুক্রবার , ৯ জুলাই, ২০২১ at ৭:২৮ পূর্বাহ্ণ

মাঝখানে করোনার উপদ্রব কিছুটা কমে আসায় আবারো সরব হওয়ার স্বপ্ন দেখছিল চট্টগ্রামের ক্রীড়াঙ্গন। চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থাও খানিকটা নড়েচড়ে বসেছিল কিছু কিছু ইভেন্ট আয়োজনের ব্যাপারে। কিন্তু আবার সেই করোনার ঢেউ লন্ডভন্ড করে দিল সবকিছু। যেহেতু বর্ষা কাল চলে আসছিল তাই ফুটবল লিগের দিকেই ঝুকছিল জেলা ক্রীড়া সংস্থা। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী মাসে মাঠে গড়ানোর কথা ছিল প্রিমিয়ার ডিভিশন ফুটবল লিগ। পরের মাসে মাঠে গড়ানোর কথা ছিল প্রথম বিভাগ ফুটবল লিগ। সে হিসেবে শিডিউলও করা হয়েছিল। কিন্তু করোনায় আবার সবকিছু অনিশ্চিত হয়ে পড়ল। চট্টগ্রাম জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের ঘোষিত শিডিউল অনুযায়ী আগামী ৭ থেকে ১১ আগস্ট হওয়ার কথা ছিল প্রিমিয়ার ডিভিশন ফুটবল লিগের দল বদল। আর প্রথম বিভাগ ফুটবল লিগের দল বদল হওয়ার কথা ছিল ২১ থেকে ২৪ আগস্ট। কিন্তু এখন কবে আবার সে দল বদল অনুষ্ঠিত হবে তা বলতে পারছেনা কেউই। কারন করোনার এই ঢেউ কবে নাগাদ থামবে তার কোন নিশ্চয়তা নেই।
চট্টগ্রামে ফুটবল মাঠে গড়াবে তেমন সংবাদে ফুটবলারদের মধ্যে উৎসাহ জেগেছিল। যদিও চট্টগ্রামের ফুটবলে এখন চট্টগ্রামের ফুটবলাররা সংখ্যালঘু। তারপরও স্বল্প সংখ্যক যে সব ফুটবলার খেলার সুযোগ পেয়ে থাকেন তারা এক রকম আশায় বুক বেঁধেছিলেন যে, অন্তত এই কঠিন সময়ে সংসার চারানোর মত একটা রাস্তা হলো। কিন্তু আবার তাদের মাথায় হাত। এই বছরে আর ফুটবল মাঠে গড়াবে কিনা তা বলতে পারছেন না কেউই। শুধু প্রিমিয়ার কিংবা প্রথম বিভাগ ফুটবল লিগ নয়, এরই মধ্যে শুরু হওয়ার কথা ছিল কিশোর ফুটবল লিগ। ফুটবলার সৃষ্টির এই টুর্নামেন্টটি শুরুর সব প্রক্রিয়া এক রকম সম্পন্ন করেছিল জেলা ক্রীড়া সংস্থা। কিন্তু করোনার ঢেউ সে টুর্নামেন্টটিও মাঠে গড়াতে দিল না।
এদিকে ইতোমধ্যেই শেষ হয়েছে বঙ্গবন্ধু এবং বঙ্গমাতা ফুটবল টুর্নামেন্টের চট্টগ্রাম জেলা পর্যায়ের খেলা। শুরু হওয়ার কথা ছিল আন্তঃ জেলা পর্যায়ের খেলা। সে জন্য প্রস্তুতিও ছিল জেলা ক্রীড়া অফিসের। করোনার কারণে সেটাও অনিশ্চিত। যেহেতু বর্ষাকাল চলে আসছিল তাই এ বছরের নভেম্বর কিংবা ডিসেম্বরের দিকে ক্রিকেট মাঠে গড়ানোর পরিকল্পনা ছিল জেলা ক্রীড়া সংস্থার। এখন সময়ই বলে দেবে এই ক্রিকেট মাঠে গড়াতে পারবে কিনা। এছাড়াও কিছু ইনডোর ইভেন্ট চালু করতে চেয়েছিল জেলা ক্রীড়া সংস্থা। সে সবও এখন অনিশ্চিত যাত্রায়।
জেলা ক্রীড়া সংস্থা বা জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের কোন খেলাধুলা না থাকলেও এই বৃষ্টির দিনে এম এ আজিজ স্টেডিয়ামের সামনের অনুশীলন মাঠটি পরিণত হয়েছে এক রকম ধান ক্ষেতে। স্টেডিয়াম সংরক্ষিত এলাকা হলেও প্রতিদিন বিপুল সংখ্যক ছেলে করোনার মাঝেও খেলাধুলা করছে কোন রকমের বাধা বিপত্তি ছাড়াই। ফলে এই সময়ে মাঠটি সংস্কার করার একটা সুযোগ থাকলেও সেদিকে কোন ধরনের খেয়াল নেই জেলা ক্রীড়া সংস্থার। ফলে নিরাপত্তার শংকাও দেখা দিয়েছে স্টেডিয়াম এলাকায়। করোনাকালেও বহিরাগতদের পদচারনা মুখর স্টেডিয়ামের সামনের অনুশীলন মাঠ। অথচ করোনার জন্য নিজেদের খেলাধুলা সমূহ আয়োজন করতে পারছে না জেলা ক্রীড়া সংস্থা। সেখানে বহিরাগতরা বিনা বাধায় খেলে নষ্ট করে দিচ্ছে মাঠ। যে মাঠটি হয়তো আবার নিজেদের টাকায় সংস্কার করবে জেলা ক্রীড়া সংস্থা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ৫৫ বছর পর কোন টুর্নামেন্টের ফাইনালে ইংল্যান্ড
পরবর্তী নিবন্ধদ. আফ্রিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট জুমার আত্মসমর্পণ