একটি টেস্ট এবং তিনটি করে ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টি খেলতে এ মাসের শেষের দিকে জিম্বাবুয়ে যাওয়ার কথা বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের। কিন্তু এই যাত্রায় সিরিজটি মাঠে গড়াবে কিনা তা নিয়ে হঠাৎ করেই শংকা দেখা দিয়েছে। জিম্বাবুয়েতে দিনকে দিন বাড়ছে করোনাভাইরাসের প্রকোপ। ফলে লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির সরকার। তার প্রেক্ষিতে ২২ জুন থেকে সব ধরনের ক্রীড়া কার্যক্রম স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। বলা হয়েছে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত চলবে এই স্থগিতাদেশ। ফলে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে সিরিজ নিয়ে তৈরি হয়েছে শংকা। যদিও এরই মধ্যে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ের আসন্ন সিরিজটি যথাযথভাবে চালিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করে দিতে সরকারের কাছে আবেদন করেছে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট বোর্ড। ক্রিকেট বোর্ডের আবেদন দেশটির সরকার কতোটা আমলে নেয় তার ওপর অনেকটা নির্ভর করছে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে সিরিজের ভাগ্য। জিম্বাবুয়ের ক্রীড়া ও সংস্কৃতি মন্ত্রাণালয় বিবৃতিতে বলেছে, ্তুকরোনার সংক্রমণের হার বেড়ে যাওয়ায় সমস্ত ক্রীড়া কার্যক্রম এবং ইভেন্টগুলো আগামী ২২ জুন থেকে পরবর্তী বিজ্ঞপ্তি দেয়া পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে। সকল ক্রীড়া সমিতি, ক্লাব, জিম এবং সংশ্লিষ্ট স্টোকহোল্ডারদের এটা মেনে চলা উচিত। আগামী ২৯ জুন জিম্বাবুয়ের উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার কথা বাংলাদেশ দলের। এদিকে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড জানিয়েছে সিরিজটি মাঠে গড়ানো নিয়ে বেশ আশাবাদী জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট বোর্ড। এই লক্ষ্যে তারা সরকারের সঙ্গে সব ধরণের আলোচনাই চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে বিসিবি। জিম্বাবুয়ান ক্রিকেট বোর্ডের সিইও’র সঙ্গে গতকাল সোমবার সকালে কথা বলেছেন বিসিবি সিইও নিজাম উদ্দিন চৌধুরী সুজন। তিনি জানতে পেরেছেন আসন্ন সিরিজটি মাঠে গড়ানোর লক্ষ্যে তারা বেশ আশাবাদী ও আত্মবিশ্বাসী। বিসিবির সিইও বলেন, করোনার সংক্রমনের ফলে ওদের সরকার সব ধরণের স্পোর্টস বন্ধ করেছে। জিম্বাবুয়ান ক্রিকেট বোর্ড আমাদের জানিয়েছে তারা ক্রিকেট চালিয়ে নিতে সরকারের সঙ্গে আলোচনা করছে। আমরা তাদের সাথে যোগাযোগ রাখছি। তারা সিরিজ নিয়ে আত্মবিশ্বাসী।