করোনাভূতি

শাহীদুল আলম | শুক্রবার , ৩০ এপ্রিল, ২০২১ at ৭:৩১ পূর্বাহ্ণ

করোনা আমি এসেছি এক অশনি সংকেত নিয়ে, যাতে তোমরা হতভম্ব হয়ে যাও। আমি কোভিড-১৯ গভীরে চিন্তা করে দেখলাম প্রবাসীদের ভীষণ যন্ত্রণার জীবন যেখানে পূর্বের ন্যায় নেই কাজের চাপ, নেই উপার্জনের সুযোগ যাতে হরহামেশাই দেশে পাঠানো টাকায় তোমরা ইচ্ছেমতো শপিংমলে বিলাসিতায় মেতে উঠতে ফলে নিজ থেকেই নিজেদেরকে মানিয়ে নিতে বাধ্য হলে। কিছু কিছু বিষয় আমাকে ভাবিয়েছে যা আমার আগমনের পূর্ব থেকেই তোমাদের করা উচিৎ ছিলো যা সামান্য সচেতন করে তুলতে অনেক সময় অপচয় হতে দেখেছি আবার তা নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করতেও দেখেছি ফলে নিজেদেরকে মাস্ক পরিধান ও হ্যান্ডওয়াশ, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলতে। আমি দেখলাম তোমাদের বেকারত্বকে কিভাবে কর্মময় করে নতুন দিগন্তের সূচনা করতে ফলে তোমরা বাসায় বসে নানানরকম পণ্যের সমাহারে অনলাইন ব্যবসার মাধ্যমে সেবা ও নিজেদের একটা আয়ের পথ উন্মোচিত হতে। জীবন বাঁচাতে গচ্ছিত সঞ্চয়ও উত্তোলন করে চলতে দেখেছি ফলে তোমাদের অর্থ সংকট আর অপরের দারস্থ হতেও দেখছি। আমি হতবাক হয়েছি তোমাদের গাফিলতি দেখে আমি যখন নিষ্ক্রিয় থেকে আক্রমণ করি তখন তোমরা খোলাবাজারের সৃষ্টি করলে যাতে আমার থেকে দূরত্ব বজায়ে সচেষ্ট হলে যেইমাত্র আমার তীব্রতা ব্যাপকভাবে ছড়াতে সক্ষম হই ঠিক তখনি তোমরা গুটিয়ে নিলে। সেবার মান নিয়ে পুরো দেশ তোলপাড় সৃষ্টি করলে ফলে বাধ্য হলে আলাদা কোভিড-১৯ হাসপাতাল ও ভ্যাঙিনেশন সেবা নিশ্চিত করতে। দেখলাম জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চিকিৎসা সেবা থেকে দূরে সরে সামান্য রোগকে কোভিড ভেবে নিজেকে আড়ালে রাখতে, সাথে এটাও দেখে আশ্চর্য হয়েছি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে করোনা রোগীর সেবা দিতে আর দাফন-কাফনের ব্যবস্থা করতে। আমার বিনাশ নিয়ে তোমাদের চিন্তার অন্ত নেই ফলে তোমাদের কোনো দোষ দেখিনা তবে সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বিচারে বৃক্ষনিধন বন্ধ হোক
পরবর্তী নিবন্ধকরোনাকাল ও আমাদের শেকড়