গতবছরের ন্যায় এবারও করোনা মহামারীকালে ঈদ পালন করতে যাচ্ছি আমরা। গতবছরের চাইতে এ বছরটা কিছুটা শিথিল অবস্থা থাকলেও হঠাৎ করে আমাদের পাশ্ববর্তী দেশ ভারতে করোনা মহামারী ভয়ংকর রূপ ধারণ করেছে বলে খুবই উদ্বিগ্ন। কারণ এমন একটা অদৃশ্য ভাইরাসের সাথে আমরা মোকাবিলা করছি যার কারণে যে কোন সময় যে কোন ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যেতো পারে। তাই কিছুটা আশংকার মধ্যে রয়েছি সকলে। বর্তমানে আমাদের সরকার এ পরিস্থিতি সামলানোর জন্য নানান কর্মসূচী হাতে নিয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা থেকে শুরু লকডাউনের মত কঠোর পরিকল্পনাও হাতে নিয়েছে। যদিও করোনার সময়ে আমরা ঈদ উদযাপন করবো, তাই বলে কি ঈদের কেনাকাটা থেমে থাকছে? বরং এ সময়ে অনেক নতুনত্ব বিষয় দেখতে পাচ্ছি। অনলাইনের মাধ্যমে অনেক ব্যবসা- বাণিজ্যের সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হচ্ছে। নতুন ভাবনা নিয়ে তারা নিজেদেরকে স্বাবলম্বী করে তুলছে এ ব্যবসার মাধ্যমে। ফলে ঘরে বসে যে কেউ স্বাচ্ছন্দ্যে কেনাকাটা করে নিচ্ছে পবিত্র ঈদকে ঘিরে। এ সময়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অসহায় দরিদ্র মানুষদের মোবাইল ব্যাকিংয়ের মাধ্যমে আর্থিক সহযোগিতাও প্রদান করছেন। যাতে করে সকল স্তরের মানুষেরা সুন্দরভাবে একত্রে ঈদ উদযাপন করতে পারেন। ধনী- গরীরের মধ্যে যাতে একটা পারস্পরিক মেলবন্ধন তৈরি হয়। কেউ হয়ত কারো বাড়ি যেতে পারবে না, তাই বলে তো আর আনন্দ থেমে থাকবে না। প্রত্যকে নিজ নিজ পরিবার পরিজন নিয়ে ভালোভাবে দিনটি উদযাপন করবে। ভিডিও বার্তায় আত্মীয় বন্ধুদের কুশল বিনিময় আদান প্রদান হবে। পরিশেষে যে যেভাবে ঈদ উদযাপন করুন না কেনো প্রত্যেককে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে বেঁচে থাকার তাগিদে। হয়ত একদিন এ মহামারি থেমে যাবে- তখন হয়ত আবার আগের মত আনন্দ উল্লাসে ঈদ উদযাপিত হবে।