করোনা সচেতনতা বৃদ্ধিতে নগরজুড়ে মাইকিং

আজাদী প্রতিবেদন | শুক্রবার , ২১ জানুয়ারি, ২০২২ at ১১:১৪ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রামে বাড়ছে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা। প্রতিদিনই ভাঙছে আগের দিনের রেকর্ড। হাসপাতালে বাড়ছে করোনা রোগী। তবে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতার মাত্রা বাড়ছে না। জনসমাগমস্থলে স্বাস্থ্যবিধি মানার বালাই নেই। তাই করোনার প্রকোপ বৃদ্ধির এই সময়ে জনসচেতনতা বাড়াতে গত বুধবার থেকে মাইকিংয়ের কর্মসূচি হাতে নিয়েছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। এতে সচেতনতা তৈরি না হলে পরবর্তীতে একাধিক ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গতকাল নগরীর আটটি পয়েন্টে সিএনজি টেক্সিযোগে মাইকিং করেছে জেলা প্রশাসন। এছাড়াও হ্যান্ড মাইক দিয়ে নগরীর বিভিন্ন স্থানে মাইকিং করা হয়েছে। গত দুদিন ধরে এই কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। এই কার্যক্রম আরও কয়েকদিন ধরে চলবে। মাইকিংয়ে জনসাধারণকে উদ্দেশ্য করে স্বাস্থ্যবিধি মানতে সরকারের বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে।
নির্দেশনাগুলো হলো- ১. দোকান, শপিংমল ও বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতা ও হোটেল-রেস্তোরাঁসহ জনসমাগম স্থলে সবাইকে বাধ্যতামূলক মাস্ক পরতে হবে। ২. রেস্তোরাঁয় বসে খাবার গ্রহণ এবং আবাসিক হোটেলে থাকার জন্য অবশ্যই করোনা টিকার সনদ দেখাতে হবে। ৩. ১২ বছরের ঊর্ধ্বে সকল ছাত্রছাত্রীকে মন্ত্রণালয় কর্তৃক নির্ধারিত তারিখের পর টিকা ছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না। ৪. সবধরনের যানবাহনের চালক-সহকারীর অবশ্যই করোনা টিকার সনদ থাকতে হবে। ৫. করোনা আক্রান্তের হার ক্রমবর্ধমান হওয়ায় উন্মুক্ত স্থানে সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয়সহ সবধরনের সভা-সমাবেশ পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখতে হবে। জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পীযুষ কুমার চৌধুরী বলেন, শুরুতে মাইকিং করে সচেতনতা তৈরি করা হচ্ছে এবং সরকারের বিধিনিষেধ লোকজনকে জানানো হচ্ছে। এসবের পাশাপাশি মাস্কও বিতরণ করা হচ্ছে। এতেও যদি লোকজন সচেতন না হয়, তবে জেলা প্রশাসন ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধখলিফা পট্টিতে আগুনে পুড়েছে বসতঘর
পরবর্তী নিবন্ধদুই গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২