বেশ কিছুদিন ধরে দেশে লকডাউন চলছে। পাবলিক বাসগুলো বন্ধ থাকলেও মহাসড়ক এবং গ্রামের রাস্তাগুলোতে ব্যক্তিগত কার, মাইক্রো, রিক্সা, সি. এন.জি, মোটরসাইকেল চলছে। অনেক শ্রমজীবী মানুষ এই লকডাউনে গার্মেন্টসে কাজ করেছেন। ব্যাংক এবং শিল্প কারখানার কর্মচারী এবং কর্মকর্তারা তাদের নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। সংবাদপত্রের সাথে জড়িত সবাই নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করেছেন। যে সময় করোনা আক্রান্তের হার খুব বেশি ছিল তখনো আমরা অনেকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দেশের এবং পাশাপাশি নিজের অর্থনৈতিক অবস্থা সচল রাখার জন্য অফিসে গিয়েছি। যেহেতু রাস্তায় গাড়ি কম ছিল সেহেতু অনেক কষ্ট করে বিভিন্ন গাড়ি পরিবর্তন করে কর্মস্থলে গিয়েছি। আমার মত অনেকেই একইভাবে নিজ নিজ অফিসে গিয়েছেন। অনেক মানুষের সংস্পর্শের কারণে যে কেউ করোনার জীবাণু বহন করতে পারেন। লকডাউন চলাকালীন যারা অফিস করেছেন তাদের সবার পরিবার আছে। এইসব পরিবারের সদস্যরা যাতে করোনায় কম আক্রান্ত হয় তার দিকেও খেয়াল রাখা দরকার। সরকারের বিভিন্ন প্রচেষ্টায় করোনা সংক্রমণ বাংলাদেশে অনেক কমে গেছে। আগামী কিছুদিন পর পুরোদেশ ঈদের আনন্দে ভাসবে। মার্কেটগুলোতে মানুষের খুব ভিড় দেখা যাচ্ছে। অনেক মার্কেটের ক্রেতা বিক্রেতা উভয়ের কোনো মাস্ক দেখা যাচ্ছেনা। ফলে ঈদের পর করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি থেকেই যাচ্ছে। তাই আমি মনে করছি আগামী ১০ মে থেকে ২০ মে পর্যন্ত ঈদের সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সকল ধরনের সরকারি, বেসরকারি অফিস, ব্যাংক, গার্মেন্টস বন্ধ রাখলে করোনা সংক্রমণ দ্রুত কমে যাবে। সাধারণ ছুটির পাশাপাশি গাড়ির শ্রমিক কর্মচারীদের আর্থিক প্রণোদনার মাধ্যমে চলমান লকডাউনকে আরও কঠোর করতে হবে। দিল্লীর মত অবস্থা যাতে বাংলাদেশের না হয় তার দিকে সবার খেয়াল রাখতে হবে। তাই আমি সরকারকে অনুরোধ জানাব মানুষের সুস্থ ও নিরাপদ জীবনের জন্য আসন্ন ঈদের ছুটি দীর্ঘায়িত করুন।











