করমর্দন করে নয়, কেবল নমস্কারেই সারা হল অভ্যর্থনা পর্ব। সাংহাই কো–অপারেশন অর্গানাইজেশনের (এসসিও) পররাষ্ট্রমন্ত্রী সম্মেলনে যোগ দিতে গোয়া সফরে যাওয়া পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারিকে কেবল জোড়হাতে নমস্কার করে স্বাগত জানিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। জয়শঙ্করের এই শীতল অভ্যর্থনাই বুঝিয়ে দিয়েছে দুই দেশের সম্পর্কের বরফ এখনও গলেনি। তবে এখানেই শেষ নয়। এনডিটিভি জানায়, অভ্যর্থনা জানানোর কয়েক মিনিট পরই বিলাওয়ালকে প্রারম্ভিক ভাষণে কড়া এক বিবৃতিতে জয়শঙ্কর স্পষ্ট জানিয়ে দেন, আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসসহ সন্ত্রাসের হুমকি নিয়ে ভারতের অবস্থান এখনও কঠোর। বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির এবারের ভারত সফর ১২ বছর পর কোনও পাকিস্তানি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রথম সফর। তার আগে হিনা রব্বানি খার ২০১১ সালে ভারত সফর করেছিলেন। সে সময় ভারতের তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসএম কৃষ্ণার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন তিনি। খবর বিডিনিউজের।
বিলাওয়ালের এ সফর এমন এক সময় অনুষ্ঠিত হচ্ছে যখন চির প্রতিদ্বন্দ্বী এই দুই দেশ সমপ্রতি কয়েক বছরে বিভিন্ন কারণে একে অপরের বিষয়ে নাক গলিয়েছে। দুই দেশের সম্পর্কে বাধা হয়ে দাঁড়িয়ে আছে সন্ত্রাসবাদ। এসসিও সম্মেলনের উদ্বোধনী ভাষণের প্রথমেই সন্ত্রাসবাদের প্রসঙ্গ টেনে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শংকর বলেছেন, জঙ্গি তৎপরতা বেড়েই চলেছে। ভারতের দৃঢ বিশ্বাস, সন্ত্রাসবাদের কোনও যুক্তি হয় না। যে কোনোও ধরনের জঙ্গি হামলা বন্ধ করতে হবে। বিশেষ করে, সীমানা পেরিয়ে অন্য দেশে জঙ্গি কার্যকলাপ বন্ধ হওয়া খুবই দরকার। এসসিও’র মূল আদর্শগুলোর অন্যতম হল সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলা। বিলাওয়ালের উপস্থিতিতে পাকিস্তানের নাম উচ্চারণ না করে পরোক্ষভাবে পাকিস্তানকে লক্ষ্য করেই বক্তব্য রেখেছেন জয়শঙ্কর।
গতকাল শুক্রবার গোয়ার পানাজিতে সাংহাই কো–অপারেশন অর্গানাইজেশনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মেলন শুরু হয়েছে। এই সম্মেলনে জোটের অন্যান্য সদস্যদেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করারও আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন বিলাওয়াল। কিন্তু ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হবে কিনা সে বিষয়ে এখনও নিশ্চিত কিছু জানানো হয়নি।