টানা অনাবৃষ্টির কারণে কাপ্তাই লেকের পানি প্রতিনিয়ত কমছে। লেকে পানি কমে যাওয়ার ফলে বিদ্যুৎ উৎপাদনও সীমিত করা হচ্ছে। কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ৫টি ইউনিট রয়েছে। এর সবগুলো ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষম হলেও চালু রয়েছে মাত্র ১টি ইউনিট। একটি ইউনিট থেকে বর্তমানে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন হচ্ছে। ৫টি ইউনিটের সবগুলো সচল থাকলে ২৪২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন করা সম্ভব হতো বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানায়, টানা গরমের কারণে কাপ্তাই লেকে পানির স্তর দিন দিন কমছে। সামনে গরমের মাত্রা আরো বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যে কারণে ৫টির মধ্যে মাত্র ১টি জেনারেটর সচল রেখে সীমিত হারে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে।
কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী এটিএম আব্দুজ্জাহের বলেন, রুলকার্ভ (পানির পরিমাপ) অনুযায়ী বর্তমানে (৮ এপ্রিল) কাপ্তাই লেকে ৮৭ মিন সি লেভেল পানি থাকার কথা। কিন্তু লেকে এখন পানি রয়েছে ৮৩ ফুট মিন সি লেভেল। প্রতিদিন পানির উচ্চতা হ্রাস পাচ্ছে। ৫টি জেনারেটরের মধ্যে ১ নম্বর জেনারেটর এখন বিদ্যুৎ উৎপাদনে সচল রাখা হয়েছে। এই ১ নম্বর জেনারেটর থেকে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন হচ্ছে। যার পুরোটাই জাতীয় গ্রিডে সঞ্চালন করা হচ্ছে।
এদিকে কাপ্তাই বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ উৎপন্ন কম হওয়ায় কাপ্তাই লেক থেকে পানি নির্গমণ কম হচ্ছে। যার ফলে কর্ণফুলী নদীর উজানে লবণাক্ততা বৃদ্ধি পাবার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। চট্টগ্রাম ওয়াসার পক্ষ থেকে কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্র কর্তৃপক্ষকে আরো বেশি ইউনিট চালু করে বিদ্যুৎ উৎপাদন আরো বাড়ানোর জন্য বারবার অনুরোধ করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী এটিএম আব্দুজ্জাহের বলেন, লবণাক্ততা যাতে বৃদ্ধি না পায় সেজন্য ওয়াসার পক্ষ থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ইউনিটের সংখ্যা বাড়ানোর জন্য বলা হচ্ছে। কিন্তু ভবিষ্যতে কাপ্তাই লেকের পানি আরো বেশি পরিমাণে হ্রাস পেলে যাতে বিদ্যুৎ উৎপাদন সীমিত পরিমাণে হলেও সচল রাখা সম্ভব হয় সেই বিষয়টিকে মাথায় রেখে আপাতত ১টি ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদনে সচল রাখা হয়েছে।