কমিশনিং হলেও উৎপাদনে যেতে পারছে না ভান্ডালজুড়ি প্রকল্প

পটিয়া- বোয়ালখালীতে আবাসিক সংযোগের কাজ শেষ হলে পানি সরবরাহ করবে ওয়াসা

আজাদী প্রতিবেদন | শুক্রবার , ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ at ৬:৩৫ পূর্বাহ্ণ

আবাসিক ও বাণিজ্যিক গ্রাহকের সংযোগের কাজ শেষ না হওয়ায় চট্টগ্রাম ওয়াসার ভান্ডালজুড়ি পানি শোধনাগার প্রকল্প উৎপাদনে যেতে পারছে না।  গত অক্টোবরনভেম্বরের মাঝামাঝি চট্টগ্রাম ওয়াসার ভান্ডালজুড়ি পানি শোধনাগার প্রকল্পের ট্রায়াল রান সম্পন্ন হয়েছে। কমিশনিং কার্যক্রম সম্পন্ন হলেও উৎপাদনে (পানি সরবরাহ) যেতে পারছে না ওয়াসা ভান্ডালজুড়ি প্রকল্প। মূলত আবাসিক গ্রাহকদের সংযোগের কাজ এখনো শেষ হয়নি। এই প্রকল্প থেকে বোয়ালখালী উপজেলা ও আনোয়ারা উপজেলায় ১২শ জন আবাসিক গ্রাহক সংযোগ নিতে রাজি হয়েছেন। আবাসিক এই ১২শ’ গ্রাহকের সংযোগ এখনো সম্পন্ন হয়নি বলে জানান চট্টগ্রাম ওয়াসার সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা। অপরদিকে এখনো পর্যন্ত চিটাগাং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার (সিইউএফএল) এবং ড্যাপ (ডাই অ্যামোনিয়াম ফসফেট কারখানা) ছাড়া আর কোনো শিল্প কারখানা পানির সংযোগের ব্যাপারে আগ্রহ দেখায়নি।

চট্টগ্রাম ওয়াসা সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম ওয়াসার ভান্ডালজুড়ি প্রকল্প থেকে দৈনিক ৬ কোটি লিটার পানি উৎপাদন হবে। দুটি শিল্প কারখানা এবং ১২০০ আবাসিক গ্রাহকসহ মিলে দৈনিক ২ কোটি লিটারের মত পানির চাহিদা থাকবে।

এই ব্যাপারে চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মুহাম্মদ আনোয়ারা পাশা আজাদীকে বলেন, বোয়ালখালী ও পটিয়া উপজেলায় আবাসিক সংযোগের কাজ শেষ হলেই ভান্ডালজুড়ি পানি শোধনাগার প্রকল্প থেকে উৎপাদন শুরু হবে। গ্রাহকদের আবাসিক সংযোগ দিতে আরো একটু সময় লাগবে। আবাসিক সংযোগের পাইপ লাইন আমরা এখনো টেস্ট করিনি। আমরা ডিস্ট্রিবিউশন লাইন টেস্ট করেছি। তাছাড়াও এখন শুষ্ক মৌসুম। এই মৌসুমে হালদা এবং কর্ণফুলীতে পানির লেভেল কমে যায়। কাপ্তাই লেকের পানিও কমে গেছে। কাপ্তাই লেকে পানির স্তর কমে গেলে হালদায় লবণাক্ততা বাড়ে। আমাদের ভান্ডালজুড়ি পানি শোধনাগার প্রকল্পটি কর্ণফুলীর তীরে। এই প্রকল্পের পানি কর্ণফুলী থেকেই নেয়া হবে।

প্রকল্পের শুরুতেই আনোয়ারা ও পশ্চিম পটিয়ার দেশীবিদেশী ছোটবড় মোট ১৩টি বাণিজ্যিক সংযোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত ছিল চট্টগ্রাম ওয়াসার।

শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোকে এই প্রকল্প থেকে পানি নেয়ার জন্য চিঠি দিয়েছিল চট্টগ্রাম ওয়াসা। তখন কাফকো, সিইউএফএল, ড্যাপ, কোরিয়ান ইপিজেড, চায়না ইকোনমিক জোনসহ অন্যান্য শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো পানি নিতে আগ্রহ দেখিয়েছিল। এখন প্রকল্পের কাজ শেষে সংযোগ নেয়ার জন্য চিঠি দিলে দুটি প্রতিষ্ঠান ছাড়া (সিইউএফএল এবং ড্যাপ কারখানা) আর কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে সাড়া পাওয়া যায়নি বলে জানান প্রকল্প পরিচালক ও ওয়াসার তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মুহম্মদ মাহবুবুল আলম।

ওয়াসা থেকে জানা গেছে, এই প্রকল্পের অধীনে বাণিজ্যিক গ্রাহক ছাড়াও প্রাথমিক পর্যায়ে প্রায় তিন হাজার আবাসিক গ্রাহককে সংযোগ দেওয়া হবে। এখন পর্যন্ত সংযোগের জন্য আবেদন করেছেন ১২০০ গ্রাহক। এর মধ্যে পটিয়ায় ৮০০ এবং বোয়ালখালীতে ১০০ গ্রাহকের বাসাবাড়িতে সংযোগের কাজ শেষ হয়েছে। অবশিষ্ট গ্রাহকদের সংযোগের কাজ চলছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধদেশি-বিদেশি মিডিয়া নিয়ে আয়নাঘর পরিদর্শনে যাবেন প্রধান উপদেষ্টা
পরবর্তী নিবন্ধকৌতুক কণিকা