দীর্ঘ তিন বছর পর রোববার মধ্যরাতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। তবে কমিটিতে পদ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে নেতা-কর্মীদের মাঝে। ক্ষোভে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে তালা দিয়েছেন পদবঞ্চিতরা। অভিযোগ উঠেছে শাটলের ড্রাইভারকে অপহরণ করেছেন তারা।
তবে পদবঞ্চিতরা বলছেন, শাটলের ড্রাইভারকে তারা অপহরণ করেননি। ড্রাইভার নিজে থেকেই চলে গেছেন।
এদিকে আজ সোমবার সকাল থেকে পদবঞ্চিতরা অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্যাম্পাস অবরোধের ডাক দিয়েছেন। সুষ্ঠু কমিটির দাবিতে তারা এই আন্দোলন করছেন বলে জানিয়েছেন তারা। এদিন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কোন শাটল ও শিক্ষক বাস পৌঁছাতে দেয়নি অবরোধকারীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘ছাত্রলীগের একটা অংশ যারা পদ পায়নি তারা অবরোধ করছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শাটল ও শিক্ষক বাস আসতে দিচ্ছে না তারা। শাটলের ড্রাইভারকে অপহরণ করে নিয়ে গেছে ঝাউতলা থেকে। যেহেতু এটা ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় বিষয় আমরা বলতে পারছি না অবরোধ কখন শেষ হবে। তবে আমরা ওদের সাথে কথা বলছি।’
অবরোধকারী ও পদবঞ্চিত দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে অছাত্র, ইয়াবা ব্যবসায়ী ও জামাত-শিবিরের সহযোগীরা স্থান পেয়েছে। অথচ সাত বছর ধরে আমরা যারা শেখ হাসিনার জন্য কাজ করে যাচ্ছি তাদের নাম নেই। তাই আমরা তিনটি দাবিতে অবরোধ করছি। ইয়াবা ব্যবসায়ী ইলিয়াসকে কমিটি থেকে বাদ দিতে হবে, অছাত্র ও বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্তদের কমিটি থেকে বহিষ্কার করতে হবে এবং আমরা যারা দীর্ঘ সময় ধরে ছাত্রলীগ ও শেখ হাসিনার জন্য কাজ করে যাচ্ছি কমিটি বর্ধিত করে তাদের পদ দিতে হবে।’