কমিউনিটি সেন্টারের বদ্ধ ঘরে বাবুর্চির মরদেহ

একই কক্ষ থেকে সহযোগীকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার

সাতকানিয়া প্রতিনিধি | রবিবার , ১৪ জানুয়ারি, ২০২৪ at ৯:১৪ পূর্বাহ্ণ

সাতকানিয়ায় একটি কমিউনিটি সেন্টারের ভেতর এক বাবুর্চির রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। তার নাম মোরশেদুল আলম (৪০)। তিনি উপজেলার সোনাকানিয়া ইউনিয়নের মির্জারখীল ছোট হাতিয়ার বাদশা বাপের বাড়ির আবদুল হাকিমের পুত্র। গতকাল শনিবার সকালে তার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এসময় মো. জামাল উদ্দিন (৪১) নামে অচেতন অবস্থায় বাবুর্চির এক সহযোগীকেও উদ্ধার করা হয়েছে। গত শুক্রবার গভীর রাতে দায়িত্ব পালন শেষে তারা সোনাকানিয়া ইউনিয়নের মির্জারখীল রয়েল কমিউনিটি সেন্টারের ভেতর ঘুমাতে যান এবং গতকাল সকালে দুইজনকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পুলিশের ধারণা অতিরিক্ত মদপান বা খাদ্যে বিষক্রিয়ায় মৃত্যু হয়েছে একজনের।

পুলিশ, এলাকাবাসী ও নিহতের স্বজনরা জানান, বাবুর্চি মোরশেদুুল আলম শুক্রবার রাতে তার সহযোগীদের নিয়ে মির্জারখীল রয়েল কমিউনিটি সেন্টারে একটি বিয়ের খাবার তৈরি করছিলেন। কাজ শেষে রাত ২টার দিকে সবাই চলে যান এবং বাবুর্চি মোরশেদ ও সহযোগী জামাল কমিউনিটি সেন্টারের ভেতর একটি কক্ষে ঘুমিয়ে পড়েন। গতকাল সকালে অন্যান্য লোকজন কাজ করার জন্য কমিউনিটি সেন্টারে গিয়ে তাদের দীর্ঘক্ষণ ডাকাডাকি করেন, কিন্তু কোনো সাড়া মিলেনি। তাদের কক্ষের দরজা ভেতর দিক থেকে বন্ধ ছিল। ফলে দরজা ভেঙে তাদেরকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারের পর মোরশেদুল আলমকে সাতকানিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেঙে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। অন্যদিকে মো. জামালকে অচেতন অবস্থায় চমেক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। গতকাল রাত ৯টা পর্যন্ত জামালের জ্ঞান ফিরেনি বলে জানিয়েছেন তার ভাই নেচার উদ্দিন। জামাল উদ্দিন সোনাকানিয়া ইউনিয়নের সাইরতলী পাড়ার বেদার আহমদের পুত্র।

সাতকানিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আতাউল হক চৌধুরী জানান, পুলিশ মোরশেদুল আলমের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চমেক হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে। তার সহযোগী জামালকে অচেতন অবস্থায় চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে অতিরিক্ত মদপান অথবা খাদ্যে বিষক্রিয়ার কারণে মোরশেদের মৃত্যু এবং জামাল অচেতন হয়েছে। অঙিজেনের অভাবেও এমন হতে পারে। কারণ তারা যে কক্ষে ঘুমিয়েছিল সেটি চারদিক থেকে বন্ধ অবস্থায় ছিল। আলো বাতাস প্রবেশের কোনো ব্যবস্থা ছিল না। এরপরও ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে না পাওয়া পর্যন্ত মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত করে বলা যাবে না। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্য মামলা দায়ের করা হয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবদির হুমকি, ইয়াবার মদদদাতাদের নাম প্রকাশ হবে সংসদে
পরবর্তী নিবন্ধএক ট্রলারেই ধরা পড়ল আট হাজার ইলিশ