মীরসরাইয়ের জোরারগঞ্জে ১১ বছর বয়সী এক কিশোরীকে যৌন উৎপীড়ন ও ধর্ষণ চেষ্টার দায়ে মো. হারুন নামে পলাতক এক কবিরাজকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও তিন লাখ টাকা জরিমানা করেছেন আদালত। হারুন মধ্যম আজম নগরের ছুনি মিঝির বাড়ির মৃত আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে। গতকাল বুধবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক ফেরদৌস আরা এ রায় ঘোষণা করেন।
ট্রাইব্যুনালের পিপি খন্দকার আরিফুল আলম আজাদীকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সন্দেহাতীতভাবে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত কবিরাজকে এ দণ্ড ও জরিমানা করেছেন। প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে তিনি যৌন উৎপীড়ন ও ধর্ষণ চেষ্টার মতো ঘৃণ্য এ কাজ করেছেন। আদালতকে পুরো বিষয়টি আমরা বুঝাতে সক্ষম হয়েছি। পুরো বিচার প্রক্রিয়ায় আদালত আটজন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন।
২০১৬ সালের ২১ জানুয়ারি জোরারগঞ্জ থানাধীন মধ্যম আজম নগরের ছুনি মিঝির বাড়ি এলাকায় নানার বাড়িতে বেড়াতে গেলে ৬ষ্ট শ্রেণীতে পড়ুয়া কিশোরীকে ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় কিশোরীর মা জোরারগঞ্জ থানায় কবিরাজ মো. হারুনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার এজহারে উল্লেখ করা হয়, ভিকটিমের নানার বাড়ির এক প্রতিবেশীর বাড়িতে পানির মোটর চুরির ঘটনা ঘটে। কে বা কারা এ চুরির ঘটনা ঘটিয়েছে তা জানার জন্য কবিরাজ মো. হারুনের সহায়তা চাওয়া হয়। একপর্যায়ে কবিরাজ বলেন, জড়িতদের শনাক্তে কুমারি মেয়ের প্রয়োজন। সে অনুযায়ী একটি রুমে ভিকটিমকে কবিরাজের কাছে দেয়া হয়। সেখানে ভিকটিমকে যৌন উৎপীড়ন ও ধর্ষণ চেষ্টা করা হয়। একপর্যায়ে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়।
আদালত সূত্র জানায়, এ মামলায় পুলিশের তদন্ত প্রতিবেদন আমলে নিয়ে ২০১৮ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি আসামি কবিরাজ মো. হারুনের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন বিচারক।