কবিতার আত্মকথা

শিমু জাকী | রবিবার , ১ ডিসেম্বর, ২০২৪ at ৫:৫২ পূর্বাহ্ণ

অলৌকিক রূপকথার একচিলতে আকাশ ছিল।

জাগতিক ব্যস্ততার বাইরে সেটুকুই ভালো থাকা।

আলোকরাঙা আবরণে বাড়িয়ে দিলে তোমার সুকোমল হাত।

এক অরুণধূসর সন্ধ্যায় ভালোবাসার অঞ্জলিতে ধন্য করলে অন্তর।

সুরের লহরী বেজে কলরবে মুখরিত হলো আমার সেই চিলতে আকাশ।

হৃদয়তন্ত্রীর চলমান দিনপঞ্জিতে তুমিময় রাঙা জীবন

যেন খররোদের একখানি ঝলক।

ঘাসফড়িং প্রেমে আমি হয়ে গেলাম তোমার সঞ্জীবনী,

আর তুমি আমার অশোকের কিংশুক।

নিগূঢ় আলিঙ্গনে অন্তরাত্মা পেলো মরুভূমিতে একফোঁটা জল।

সমস্ত ইন্দ্রিয়ের দাবদাহে যেন কফোটা ভালোবাসার প্রথম বৃষ্টি।

জাগতিক সেন্টিমেন্টের সাথে লড়াই করে টিকে গেল ভালোবাসাই।

গোধূলিবেলায় বাসরগৃহে ঊষার আলো পেলো প্রশান্তির খোঁজ,

আজীবনের এই চারণভূমি।

পোড় খাওয়া চৌচির হৃদয়টা উচ্ছল

আম্রমুকুলের মতো দোলায়িত হলো।

চিলতে আকাশে মেঘের দোলাচলে

এক বাঁধনহারা তরণী যেন ছুটলো।

সুচি শুভ্রতায় জীবনের পলেস্তরায় জমা হতে লাগলো

অরুণাচলের গোপন মুহূর্তগুলো।

রচিত হতে লাগলো চির অটুট অপরূপ অসমাপ্ত

এক একটি দীর্ঘ কবিতা।

আজলা ভরে মগ্ন নির্জনতায় রচিত হতে লাগলো বিশুদ্ধ রূপকথা।

শিশিরঝরা নিশিরাতে করুণ সুরে ডাকেনা আর ব্যথিত ডাহুক।

নিকুঞ্জের মলিন তটতলে পাথুরে পথে

ফোটে অজানা থোকা থোকা ফুল,

যুগলবন্দি পূর্ণ তৃপ্ততায় করি জলপান অমৃতসম।

পদ্যে প্রেমে মিলায় এক একটি অমানিশা কাটানো ভোর।

তুমি আমারে পেয়ে পূর্ণ হয়ে পরিপূর্ণ করলে আমায়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসাতকানিয়া মৌলভীর দোকান স্টেশনে ট্রাফিক পুলিশ চাই
পরবর্তী নিবন্ধড. ইউনূসের ৩ জিরো থিওরিতে উদ্ভিদবিজ্ঞান শিক্ষার্থীদের ভূমিকা