লোহাগাড়ায় কবি গানের আসর থেকে ফেরার পথে অস্ত্রের মুখে ১৬ জন পথচারীকে জিম্মি করে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ডাকাতরা স্থানীয় দক্ষিণ সুখছড়ি শাহ সাহেব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অফিসকক্ষের তালা ভেঙে তাদেরকে কাপড় দিয়ে হাত–পা ও মুখ বেঁধে জিম্মি করে রাখে। গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ সুখছড়ি বাকর আলী পাড়ায় ডাকাতির এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ডাকাতরা ওই এলাকার মৃত ওবাইদুর রহমানের পুত্র আবদুস শুক্কুরের গোয়াল ঘরের তালা ভেঙে ১টি, মৃত আবদুল মোনাফের স্ত্রী রিজু আক্তারের ১টি, কালু মিয়ার পুত্র নওশা মিয়ার ২টি গরু, জালাল আহমদের ১টি মোটরসাইকেল, বিদ্যালয়ের অফিসকক্ষ থেকে ১টি ল্যাপটপ ও কিছু নগদ টাকা এবং আটকে রাখা ১৬ জনের প্রত্যেকের কাছ থেকে মোবাইল ফোন ও নগদ টাকা লুট করে নিয়ে গেছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য নুরুল কবির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, রাতে একই ওয়ার্ডের তালুকদার পাড়ায় কবি গানের আসর হয়। গভীর রাতে গানশুনে গোল মোহাম্মদ পাড়া, হাবিলাশ চৌধুরী পাড়া ও বাকর আলী পাড়ার লোকজন পৃথকভাবে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় ডাকাতরা পর্যায়ক্রমে ওই পথ দিয়ে আসা পথচারীদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে হাত–পা ও চোখ বেঁধে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অফিসকক্ষে আটকে রাখে। এ সময় ডাকাতরা কয়েকজনকে মারধরও করেছে। ডাকাতরা চলে যাবার পরে এক পথচারীর মাধ্যমে জানতে পেরে অফিসকক্ষ থেকে জিম্মিদের উদ্ধার করা হয়।
ক্ষতিগ্রস্ত আবদুস শুক্কুরের স্ত্রী জানান, আমার স্বামী দিন মজুরের কাজ করে অনেক কষ্টে সংসার চালান। ঋণের টাকায় একটি গাভী ক্রয় করেছি দুধ বিক্রি করে সংসার চালাবো বলে। এখন সব শেষ। দুটি অস্ত্র তাক করে গোয়াল ঘরের তালা ভেঙে গরুর বাচুরসহ নিয়ে যায় ডাকাতরা।
ডাকাতের কবলে পড়া গোল মোহাম্মদ পাড়ার মো. রাশেদ জানান, গান শুনে ফেরার পথে ডাকাতরা তাকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে হাত–পা ও মুখ বেঁধে বিদ্যালয়ের অফিসকক্ষে নিয়ে আটকে রাখে। তাকে নেয়ার আগে অফিসকক্ষে আরো ৭ জনকে একইভাবে আটকে রাখা হয়। পর্যায়ক্রমে অন্যদেরও একইভাবে অফিসকক্ষে নিয়ে যাওয়া হয়। ডাকাতদের আনুমানিক বয়স ২৫–৩৫ বছর। তারা ১৫–২০ জনের মতো ছিল।
লোহাগাড়া থানার ওসি আরিফুর রহমান জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। এই ঘটনায় তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।