করোনাভাইরাস (কোভিড১৯) সংক্রমণ রোধে বান্দরবানে কঠোর লকডাউনে জনজীবনে স্থবিরতা নেমে এসেছে। নমুনা পরীক্ষার তুলনায় বান্দরবানে শনাক্তের হার খুবই উদ্বেগজনক, প্রায় ৫০%।
সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে কড়াকড়ি আরোপ করেছে প্রশাসন। জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালতের ১৮টি টিম এবং সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ সদস্যরাও টহলে রয়েছেন।
বান্দরবান বাজার সহ স্থানীয় হাট-বাজারগুলোতে সেনাবাহিনী পাহাড়ায় রয়েছে। কোথাও জটলা এবং অপ্রয়োজনীয় ঘোরাফেরা করতে দেখলেই ধাওয়া করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সেনাবাহিনীর একাধিক টিম গাড়ি নিয়ে হ্যান্ড মাইকে কোভিড-১৯ মোকাবেলায় সরকারি নির্দেশনা মানতে সতর্কতামূলক প্রচারণা চালাচ্ছে।
জেলা সদরের প্রবেশপথ সহ অভ্যন্তরীণ সংযোগ সড়কগুলোর মোড়ে মোড়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ১৮টি ভ্রাম্যমাণ আদালত টিম অভিযান পরিচালনা করছে। ইতিমধ্যে লকডাউনে সরকারি নির্দেশনা অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধারায় ৭১টি মামলা এবং অর্ধলক্ষাধিক টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
এদিকে, কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়ছে বান্দরবান জেলায়। গত চব্বিশ ঘণ্টায় বান্দরবানে আরও ৯ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে সদরে ৫ জন এবং নাইক্ষ্যংছড়িতে ২ ও লামায় ২ জন।
এনিয়ে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা এগারোশ’ সতের জন। করোনায় আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের।
সিভিল সার্জন ডা. অংসুই প্রু মারমা জানান, নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের সংখ্যাটা উদ্বেগজনক।
গত শুক্রবার (২ জুলাই) ৩১ জনের নমুনা পরীক্ষায় শনাক্ত ১৪ জন, শনিবার (৩ জুলাই) ১২ জনের পরীক্ষায় ৫ জন শনাক্ত, রবিবার (৪ জুলাই) ১৭ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৯ জন শনাক্ত হয়েছে। নমুনা পরীক্ষা অনুপাতে শনাক্তের হার প্রায় ৫০%। সংক্রমণ রোধে সবাইকে আরও সতর্ক থাকতে হবে বলে জানান তিনি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভিন তীবরীজি জানান, কোভিড-১৯ সংক্রমণ রোধে স্বাস্থ্যবিধি এবং সরকারি নির্দেশনা মানতে হবে। নির্দেশনা অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। লকডাউন কার্যকরে মাঠে রয়েছে সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ এবং প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের একাধিক টিম।