কক্সবাজারে ১০ দিনে ৮০০ কোটি টাকার ব্যবসা

১২ লাখ পর্যটক সমাগম

কক্সবাজার প্রতিনিধি | রবিবার , ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ at ৬:০৪ পূর্বাহ্ণ

গত ১০ ডিসেম্বর থেকে ২০ ডিসেম্বর পর্যটকে ভরপুর ছিল কক্সবাজার। সংশ্লিষ্টরা ধারণা করছেন, এই ১০ দিনে অন্তত ১২ লাখ লোক বেড়াতে এসেছেন পর্যটনের এই নগরীতে। এই বিপুল সংখ্যক পর্যটকের উপস্থিতিতে ব্যাপকভাবে জমে উঠে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসাগুলো। এতে অন্তত ৮০০ কোটি টাকার ব্যবসা হয়েছে এই শিল্পে। হোটেল, রেস্টুরেন্ট, পরিবহন, বার্মিজ পণ্য, শুটকিসহ পর্যটকদের আকর্ষণীয় নানা সৌখিন পণ্যের প্রতিষ্ঠান এতে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি আবু মোর্শেদ চৌধুরী জানিয়েছেন, কক্সবাজারে হোটেলমোটেল ও কটেজ মিলে দৈনিক প্রায় এক লাখ পর্যটকের ধারণ ক্ষমতা রয়েছে। এছাড়াও বিভিন্নভাবে আরো অন্তত ১০ থেকে ২০ হাজার পর্যটক থাকতে পারে কক্সবাজারে। তিনি বলেন, গত ১০ দিনে প্রায় ১০ লাখ পর্যটক হোটেলমোটেল ও কটেজে উঠেছে। অবশিষ্ট পর্যটকরা বিভিন্ন বাসাবাড়ি, সরকারিবেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং বাস ও তাবুতে রাত্রী যাপন করেছেন। অনেক পর্যটক দিনে এসে দিনে ফিরে গেছেন। সবমিলে এই ১০ দিনে প্রায় ১২ লাখের কাছাকাছি পর্যটক কক্সবাজারে বেড়াতে এসেছেন। কক্সবাজার চেম্বারের পরিসংখ্যান মতে, এ ভরমৌসুমে দৈনিক প্রতিজন পর্যটকের গড়ে প্রায় ৭ হাজার টাকা ব্যয় হচ্ছে। এতে দৈনিক প্রায় ৮০ কোটি টাকার ব্যবসা হয়েছে। ১০ দিনে সর্বমোট আনুমানিক ৮শ কোটি টাকার বেশি ব্যবসা হয়েছে।

কক্সবাজার হোটেলমোটেল গেস্টহাউজ মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বাৎসরিক ছুটি হওয়ার পর ১০ ডিসেম্বর থেকে পর্যটক সমাগম বাড়ে কক্সবাজারে। সেই থেকে গতকাল শনিবার পর্যন্ত কলাতলী হোটেলমোটেল জোন ও মেরিন ড্রাইভ সড়কের সব হোটেল ও কটেজ শতভাগ কক্ষ বুকিং ছিলো। এতে সব স্তরের হোটেল ও কটেজে ভালো ব্যবসা হয়েছে। অগ্রিম বুকিং না দেয়ায় বহু পর্যটক কক্ষ নিতে পারেনি। আগামী দুইতিন দিন চাপ একটু কমবে। তবে এরপর থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পর্যটকের চাপ আবার বাড়বে। জেলা রেস্টুরেন্ট মালিক সমিতির সহসভাপতি কামরুল ইসলাম বলেন, হোটেলমোটেল জোন ও আশেপাশের এলাকায় প্রায় আড়াইশ রেস্টুরেন্ট রয়েছে। এই ভরমৌসুমে প্রতিদিন সব রেস্টুরেন্টে বেচাকেনা ভালো হয়েছে।

কক্সবাজার বিচপার্ক ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আবদুর রহমান বলেন, বিপুল পর্যটক আসায় বার্মিজ পণ্য, কাপড়চোপড়, শুটকি, আচারের দোকানসহ পর্যটন এলাকার সব ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বেশ ভালো বেচাকেনা করেছে। এতে সবার মুখে হাসি ফুটেছে।

তবে চলতি মৌসুমে পর্যটনে ভিন্ন চিত্র বিরাজ করছে প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে। সেখানে সাড়ে তিন হাজার পর্যটক ধারণ ক্ষমতা থাকলেও সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকায় বর্তমানে দুই হাজারের বেশি পর্যটক যেতে পারছে না। সেন্টমার্টিনের পর্যটন ব্যবসায়ী আবদুল মালেক বলেন, পর্যটক যাওয়া সীমিত হওয়ায় দেড় শতাধিক হোটেলের অর্ধেক বন্ধ রয়েছে। তেমনিভাবে অর্ধশত রেস্টুরেন্টের মধ্যে একতৃতীয়াংশ বন্ধ রয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকৌতুক কণিকা
পরবর্তী নিবন্ধচাক্তাইয়ে টেম্পো লেগুনা সংঘর্ষ, যাত্রী নিহত