কক্সবাজারে সাদপন্থীদের ইজতেমা পণ্ড

কক্সবাজার প্রতিনিধি | শুক্রবার , ১০ জানুয়ারি, ২০২৫ at ৯:৪৮ পূর্বাহ্ণ

কেন্দ্রীয় দ্বন্দ্বের জেরে জোবায়েরপন্থীদের আপত্তির মুখে কক্সবাজারে আয়োজিত সাদপন্থীদের তিনদিন ব্যাপী জেলা ইজতেমা পণ্ড হয়ে গেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ফজরের নামাজের পর এই ইজতেমা শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পূর্ণ প্রস্তুতি থাকলেও জোবায়েরপন্থীদের আপত্তির পরিপ্রেক্ষিতে প্রশাসনের বাধার মুখে পণ্ড হয়ে যায় তাবলীগ জামাতের সমালোচিত সাদপন্থীদের এই ইজতেমা।

সত্যতা নিশ্চিত করে কঙবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইলিয়াছ খান জানিয়েছেন, জেলা প্রশাসনের নির্দেশে পুলিশ ঝিলংজা আল বয়ান ইনস্টিটিউট সংলগ্ন বিশাল খোলা মাঠে আয়োজন করা এই ইজতেমা বন্ধ করে দিয়েছে। তবে সাদপন্থীদের তরিকাভুক্ত কঙবাজার শহরের বিজিবি ক্যাম্প এলাকার মারকাজ মসজিদের অভ্যন্তরে তাদের স্বল্পপরিসরে ইজতেমা করতে অনুমতি দেয়া হয়েছে।

জেলা প্রশাসন থেকে জানা গেছে, সাদপন্থীরা কঙবাজারে জেলা ইজতেমা করার জন্য বেশ কিছুদিন ধরে অনুমতি পাওয়ার চেষ্টা করছিল। এতে আপত্তি জানায় জোবায়েরপন্থীরা। এই নিয়ে দুইপক্ষ ইজতেমা আয়োজনের পক্ষেবিপক্ষে কয়েকদিন ধরে মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচি পালন করে। এই নিয়ে দুই পক্ষই জেলা প্রশাসনের সাথে কয়েকদফা বৈঠক করেছেন। তাই অপ্রীতিকর ঘটনার আশঙ্কায় এই ইজতেমার অনুমতি দেয়া হয়নি এবং ইজতেমা আয়োজন না করতে সাদপন্থীদের নিষেধ করা হয়।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, জেলা প্রশাসনের অনুমতি না পাওয়া ও নিষেধ অগ্রাহ্য করে কয়েকদিন ধরে একটানা কাজ করে ইজতেমার বিশাল আয়োজন করে সাদপন্থীরা। বিশাল প্যান্ডেলসহ লক্ষাধিক মুসল্লী সমাগমের সবধরনের ব্যবস্থাও করে ফেলে তারা। এই প্রেক্ষাপটে উত্তেজিত হয়ে উঠেন জোবায়েরপন্থীরা। এর জের ধরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণের নির্দেশ দেন জেলা প্রশাসক মো. সালাহ উদ্দীন।

এ ব্যাপারে কঙবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. জসিম উদ্দীন চৌধুরী জানান, জেলা প্রশাসনের নির্দেশ মতে পুলিশ, সেনাবাহিনীর দল বুধবার রাতে পৃথকভাবে ইজতেমার মাঠে গিয়ে আয়োজনে অগ্রসর না হতে বারণ করে এবং প্যান্ডেল গুটিয়ে নিতে বলে। তারপরও গুটিয়ে না দেয়ায় গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ইজতেমা আয়োজন বন্ধ করে দেয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধনাজিরহাট বেইলি ব্রিজ নির্মাণ শেষ পর্যায়ে
পরবর্তী নিবন্ধনিক্সন ও স্ত্রীর ৭২টি ব্যাংক হিসাবে ৩ হাজার ১৬২ কোটি টাকার অস্বাভাবিক লেনদেন