তপ্ত রোদে কক্সবাজারের সাগরজলে নেমে পড়লো ৭৫০টি কাছিম ছানা। গত ১৯ এপ্রিল নেকম–ইকো লাইফ কার্যক্রম এবং হিমছড়ি সহব্যবস্থাপনা কমিটির সহযোগিতায় পেঁচার দ্বীপে ৩৫০টি, সোনাদিয়া দ্বীপে ২৫০টি ও মাদারবুনিয়ায় ১৫০টি কাছিম ছানা সাগরে অবমুক্ত করা হয়। গতকাল রোববার প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবস্থাপনা ও জলবায়ু পরিবর্তন ম্যানেজার মো. আব্দুল কাইয়ুম বলেন, নেচার কনজারভেশন ম্যানেজমেন্টের (নেকম) পরিচালনায় এই কার্যক্রমের মাধ্যমে গত তিন বছরে ২৯ হাজার ৪৫০টি ডিম সংগ্রহ করা হয়। যা থেকে ৮৫% বাচ্চা ফুটিয়ে সাগরে অবমুক্ত করা হয়। এ ধরনের পদ্ধতিকে এক্স–সিট্যু সংরক্ষণ বলা হয়। এছাড়া গত তিন বছরে ১০টি সংস্থা বা ইন–সিট্যু পদ্ধতিতে সংরক্ষণ করে বাচ্চা সাগরে অবমুক্ত করা হয়।
তিনি আরও বলেন, ইউএসএইড ও সামিট এর অর্থায়নে, পরিবেশ ও বন অধিদপ্তরের দিক নির্দেশনায় নেচার কনজারভেশন ম্যানেজমেন্ট কাছিম সংরক্ষণের এ কাজ প্রায় ২০ বছর যাবত করে আসছে। সমুদ্রের ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার, আগাছা পরিষ্কার এবং মাছের পোনা খাদক জেলিফিশ খেয়ে সমুদ্রের জীববৈচিত্র্যের ভারসাম্য বজায় রাখতে অনন্য ভূমিকা রাখে এই কাছিম। সম্প্রতি নেকমের একটি জরিপে দেখা গেছে, কক্সবাজার সৈকতের মাত্র ৩৪টি স্পটে সামুদ্রিক কাছিম ডিম পাড়তে আসছে। যা এক দশক আগেও ছিল ৫২টি। অর্থাৎ সামুদ্রিক কাছিমের ডিম পাড়ার স্থানসমূহ হুমকির মুখে রয়েছে।