কক্সবাজার শহরে মার্কিন নারীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে করা মামলায় তারিকুল ইসলাম নামে এক যুবককে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে এক লাখ টাকা জরিমানা এবং জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ (নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল–১) আদালতের বিচারক এস এম জিল্লুর রহমান এ রায় দেন। তারিকুল ইসলাম মামলার একমাত্র আসামি। তিনি কক্সবাজার পৌরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের মোহাজের পাড়ার বাসিন্দা ফরিদুল আলমের ছেলে।
পুলিশ জানায়, গত ১০ মার্চ সকাল সোয়া আটটার দিকে শহরের হিলটপ সার্কিট হাউস সড়কে হাঁটার সময় এক মার্কিন নারীকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরেন তারিকুল ইসলাম। এ সময় হইচই–চিৎকার শুরু হলে তারিকুল পালিয়ে যান। ওই দিন মার্কিন নারী বাদী হয়ে কঙবাজার সদর মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেন। মার্কিন নারীর স্বামী কঙবাজারে একটি আন্তর্জাতিক সংস্থায় কর্মরত। সেই সুবাদে শহরের একটি ভাড়া বাসায় স্বামীর সঙ্গে বসবাস করে আসছিলেন তিনি। মামলাটির তদন্ত শেষে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই আদালতে অভিযোগপত্র দেয় করে পুলিশ। এর আগে ঘটনার দিনই অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত তারিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়।
রায়ের বিষয়টি কঙবাজার সদর মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ ইলিয়াছ খান নিশ্চিত করে জানান, গতাকল এই মামলার রায় ঘোষণার দিন ধার্য্য ছিলো। সকালে আসামি তারিকুল ইসলামকে আদালতে হাজির করা হয়। রায়ের পর তাকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ওসি মো. ইলিয়াছ খান বলেন, ২০২২ সালের ১৩ নভেম্বর পাঁচ বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠে তারিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে কঙবাজার সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়। মামলাটিতে টানা কয়েক মাস কারাগারে ছিলেন তিনি। জামিনে মুক্ত হওয়ার পর মার্কিন নারীকে শ্লীলতাহানির ঘটনাটি ঘটে। তারিকুল পেশায় রাজমিস্ত্রির সহকারী।