নরওয়েজিয়ান জিওটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটের (এনজিআই) সহযোগিতায় জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) একটি ভূমিধস ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের আওতায় কক্সবাজারে ভূমিধসের আগাম সতর্কতা ও বৃষ্টিপাত পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা জোরদার করবে। ঢাকাস্থ রয়্যাল নরওয়েজিয়ান দূতাবাস এ প্রকল্পের অর্থায়ন করবে। খবর বাসসের।
গতকাল ইউএনডিপির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ইউএনডিপি ও এনজিআই’র যৌথ আয়োজনে রোহিঙ্গা ও স্থানীয় জনগোষ্ঠী উভয়ের জন্য বর্ষায় ভূমিধসের ঝুঁকি এবং কীভাবে ঝুঁকি কমানো যায় এবং স্থিতিস্থাপকতা তৈরি করা যায়, সে বিষয়ে আলোচনা করতে কক্সবাজারে ভূমিধসের ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার ওপর একটি স্টেকহোল্ডার কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ শাহীন ইমরান বলেন, কক্সবাজার বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রবণ এবং এর মধ্যে ভূমিধস একটি উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। কক্সবাজারে ভূমিধসের ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা ও প্রশমিত করার জন্য এই কর্মশালাটি আমাদের একত্রিত হওয়ার, আমাদের দক্ষতা একত্রিত করার এবং কার্যকর কৌশল চিহ্নিত করার জন্য একটি অপরিহার্য প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করবে। তিনি ইউএনডিপি ও নরওয়েজিয়ান জিওটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট এবং নরওয়েজিয়ান দূতাবাসকে এই অঞ্চলে ভূমিধসের বিধ্বংসী প্রভাব প্রশমিত করতে কক্সবাজারে এই ভূমিধসের আগাম সতর্কতা ব্যবস্থার জন্য ধন্যবাদ জানান।
বাংলাদেশে নরওয়ের রাষ্ট্রদূত এসপেন রিক্টর–সেভেনডসেন কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন। কর্মশালায় বক্তৃতাকালে রাষ্ট্রদূত বলেন, জলবায়ু অভিযোজন এবং দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের অন্যতম প্রধান উপায়। ভূমিধস যেহেতু এখানে ও অন্যান্য পার্বত্য জেলায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিকারক এবং বারবার ঘটে যাওয়া বিপদগুলোর অন্যতম, তাই প্রকল্পটি কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং স্থানীয় জনগোষ্ঠীর মধ্যে দুর্যোগ মোকাবেলার শক্তি বাড়াবে। রাষ্ট্রদূত ভূমিধসের ঝুঁকি কমাতে সম্মিলিত পদ্ধতির ওপর জোর দেন।
ইউএনডিপি বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার বলেন, ইউএনডিপি ২০১০ সাল থেকে ব্যাপক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মসূচির মাধ্যমে কক্সবাজারে ভূমিধসের ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা নিয়ে কাজ করছে। ২০১৭ সালে রোহিঙ্গা শরণার্থী আগমনের পর থেকে ইউএনডিপি কক্সবাজারে ভূমিধসের ঝুঁকি মোকাবেলায় বিভিন্ন উদ্যোগও বাস্তবায়ন করছে। চলমান প্রকল্পটি ইউএনডিপির নতুন প্রচেষ্টা নয়, বরং এটি পূর্ববর্তী উদ্যোগগুলো থেকে অর্জিত সম্মিলিত জ্ঞানের চূড়ান্ত প্রতিফলন। আমরা কার্যকরী ভূমিধসের ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা, সহনশীলতা তৈরির জন্য সরকার এবং অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের সাথে সহযোগিতা এবং রোহিঙ্গা স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে দুর্যোগ ও জলবায়ুু–সম্পর্কিত ঝুঁকি থেকে রক্ষা করতে এ প্রকল্পটি প্রণয়ন করেছি।