কক্সবাজারের ঈদগড়ের একটি মসজিদের ভেতরে রাতের বেলায় ঘুমন্ত এক শিশুকে যৌন নিপীড়নের দায়ে এক ভণ্ড ধর্মীয় শিক্ষককে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও অর্ধ লক্ষ টাকা জরিমানা করেছে আদালত। গতকাল রোববার সকালে কক্সবাজারের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) জেবুন্নেসা আয়শা এ রায় প্রদান করেন। এছাড়া অর্থদণ্ড অনাদায়ে আসামিকে আরো এক বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়।
সাজাপ্রাপ্ত আসামি মৌলভী মনছুর আলম কক্সবাজার সদর উপজেলার ঈদগাঁও থানার ইসলামাবাদ ইউনিয়নের মধ্যম গজালিয়া এলাকার বাসিন্দা। তিনি ২০১৮ সালের ৭ জুলাই রাতে রামুর ঈদগড়ের একটি মসজিদে ঘুমন্ত ১০ বছর বয়সী এক শিশুকে যৌন নিপীড়ন করে। শিশুটি কোরআন শিক্ষা নিতে এসে বৃষ্টির কারণে বাড়ি ফিরতে না পারায় রাতে মসজিদেই ঘুমিয়ে পড়ে। সে মসজিদে শিশুদের কোরআন শিক্ষার দায়িত্ব ছিল মনছুর আলমের। এ ঘটনায় শিশুটির পিতা বাদী হয়ে মনছুরকে আসামি করে ১০ জুলাই রামু থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে দায়েরকৃত উক্ত মামলায় আসামিকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়া হয়। আসামি নিজের দোষ স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেয়। ২০১৯ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি আদালতে আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়। পরবর্তীতে মামলাটি দীর্ঘ শুনানি শেষে রোববার রায় প্রদান করা হয়। রায়ে অর্থদণ্ড আদায়ের জন্য সাজাপ্রাপ্ত আসামির স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোক ও বাজেয়াপ্ত করতে জেলা কালেক্টরকে (ডিসি) নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আসামির সম্পত্তি প্রকাশ্যে বিক্রি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ তে জমা দিতেও বলা হয়। এ টাকা ক্ষতিপূরণ বাবদ ভিকটিম শিশুকে প্রদান করতেও রায়ে উল্লেখ করা হয়।
.