বঙ্গোপসাগরের কক্সবাজার উপকূলে একাধিক ট্রলার ডুবির ঘটনায় দুই জেলের মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছেন অন্তত ৬ জন। এছাড়া সাগরে মাছ ধরতে যাওয়া মহেশখালীর শতাধিক মাঝিমাল্লাসহ ৭টি ট্রলারের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।
জানা যায়, কক্সবাজার শহরের কলাতলী পয়েন্ট থেকে গতকাল শুক্রবার বিকেলে একটি ট্রলার উদ্ধার করে লাইফ গার্ড ও বিচ কর্মীরা। এ সময় গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার হয় মোহাম্মদ জামাল (৩৭) নামে এক জেলে। পরে তাকে মুমুর্ষু অবস্থায় কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (পর্যটন সেল) তানভীর হোসেন জানান, ঝড়ো হাওয়ার কবলে পড়ে ২৩ জেলে নিয়ে ‘এফবি রশিদা’ নামে একটি ফিশিং ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটেছে। ট্রলারটির আরও চার মাঝিমাল্লা নিখোঁজ রয়েছেন। উদ্ধার হয়েছে অন্তত ২৫ জন জেলে।
ট্রলার ডুবিতে নিহত ব্যক্তি চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার চরম্বা এলাকার বাসিন্দা। ডুবে যাওয়া ‘এফবি রশিদা’র জেলে মোহাম্মদ ফরহাদ বলেন, বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সাগরের কলাতলী পয়েন্টে আমরা ঝড়ো বাতাসের কবলে পড়ি। তখন ট্রলারের ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। এ সময় ট্রলারটি ডুবে যায়। আমাদের চার জেলে স্রোতে ভেসে গেছেন।
একইদিন উখিয়ার রেজু খালের মোহনায় উদ্ধার হয় মো. কামাল হোসেন (৩৫) নামে এক ব্যক্তির লাশ। তিনি কক্সবাজারের পেকুয়া রাজাখালী এলাকার বাসিন্দা বলে জানিয়েছেন উখিয়া থানার ওসি শামীম হোসেন। তিনি জানান, ইনানী সমুদ্র উপকূলের পাটুয়ারটেক পয়েন্টে ঝড়ের কবলে পড়ে অন্তত ৫টি ফিশিং ট্রলার। তন্মধ্যে একটি ট্রলারের এখনও ২ জেলে নিখোঁজ রয়েছে। একজনের লাশ উদ্ধার হয়েছে। তবে সব ফিশিং ট্রলার উদ্ধার হয়েছে।
সাগরে নিখোঁজ সাত ট্রলার : মহেশখালী প্রতিনিধি জানান, বৈরী আবহাওয়ায় মহেশখালী দ্বীপের শতাধিক মাঝিমাল্লা–সহ অন্তত ৭টি ফিশিং ট্রলার বঙ্গোপসাগরে নিখোঁজ হয়েছে।
মহেশখালীর কুতুবজোম ইউনিয়নের ঘটিভাঙ্গা এলাকার ছিদ্দিক মেম্বার জানান, তার ২টি ফিশিং ট্রলার গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে নিখোঁজ রয়েছে। এছাড়া একই এলাকার আব্দুর রহিম মাঝি, রশিদ মিয়া, আজিজুল হক, শাহাব উদ্দিন মাঝি ও আবদুল মালেকের মালিকানাধীন ১টি করে মোট ৭টি ফিশিং ট্রলার এখনো উপকূলে ফেরেনি। এসব ফিশিং ট্রলারে শতাধিক মাঝি মাল্লা রয়েছে। ফিশিং ট্রলার ও মাঝিমাল্লাদের খবর না পেয়ে জেলে পাড়ায় চলছে কান্নার রোল।