কক্সবাজার সদর উপজেলার চৌফলদণ্ডী থেকে ছিনতাই হওয়া ১৬ দশমিক ৪৭ ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ এক লাখ ১ হাজার টাকা উদ্ধার এবং এ ঘটনায় জড়িত চার আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। কক্সবাজারস্থ র্যাব–১৫ এর একটি দল গত রোববার রাতে চট্টগ্রাম শহর ও কক্সবাজারের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে আসামিদের গ্রেপ্তার ও লুন্ঠিত স্বর্ণালংকার উদ্ধার করে।
গতকাল সোমবার সন্ধ্যা ৭টায় র্যাব–১৫ এর সহকারী পরিচালক (আইন ও গণমাধ্যম) এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আবু সালাম চৌধুরী এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, কক্সবাজার শহরের বড়বাজার এ. ছালাম মার্কেটের তরুলতা জুয়েলার্সের মালিক মিশু দে এবং তার কারিগর সৌরভ ধর গত ২৩ জুন বিকেলে ঈদগাঁও বাজার থেকে স্বর্ণালংকার ও স্বর্ণ বিক্রির নগদ টাকা নিয়ে সিএনজি চালিত অটোরিকশা যোগে শহরে ফিরছিলেন। পথিমধ্যে সদরের চৌফলদন্ডী ইউনিয়নের ঘোনারপাড়া বটতলী এলাকায় কয়েকজন সন্ত্রাসী অতর্কিত হামলা করে ৩২ ভরি স্বর্ণ ও নগদ ১১ লাখ টাকা ছিনতাই করে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী বাদী হয়ে কঙবাজার সদর মডেল থানায় ৩ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সালাম আরও জানান, বিষয়টি র্যাবের নজরে আসার পর ঘটনায় জড়িত চক্রটিকে গ্রেপ্তার ও লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধারের জন্য গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়। পরে র্যাব–১৫ এর একটি দল রোববার রাতে চট্টগ্রাম শহরের পাহাড়তলী এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে এজাহারনামীয় ৩ নং আসামি জাহেদকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ চালায়। জিজ্ঞাসাবাদে ছিনতাইয়ের ঘটনায় শাহেদ, রাসেল, রবি এবং ফরহাদসহ মোট ৫ জন জড়িত থাকার তথ্য জানানো হয়। এরপর তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কঙবাজারের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে রাসেল, রবি ও ফরহাদকেও গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার জাহেদ (২৭) সদর উপজেলার চৌফলদণ্ডী ইউনিয়নের ঘোনার পাড়া এলাকার রমজান আলীর ছেলে, মো. ফরহাদ (৩০) একই এলাকার জাফর আলমের ছেলে, মো. রাসেল (২৪) ঈদগাঁও উপজেলার সওদাগর পাড়া এলাকার নুর আলমের ছেলে ও রবি ধর (৩৫) রামু উপজেলার রাজারকুল এলাকার খেতিস ধরের ছেলে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা দীর্ঘদিন ধরে ভুক্তভোগীদের অনুসরণ করে আসছিল এবং আসামি রবি ধর মূলত ওই ঘটনার তথ্যদাতা হিসেবে কাজ করেছে বলে জানায়। আর তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ছিনতাইয়ের ঘটনাটি সংঘটিত হয়। লুণ্ঠিত অবশিষ্ট স্বর্ণালংকার ও টাকাসহ এজাহারনামিয় ১ নং আসামি মো. শাহেদকে গ্রেপ্তারে র্যাবের আভিযানিক কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। গ্রেপ্তার আসামিদের কঙবাজার সদর থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।