কক্সবাজারে এক নারীকে পিস্তল ঠেকিয়ে তিন লাখ টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগে গ্রেপ্তার এক এসআইসহ তিন পুলিশ সদস্যকে দুই দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। এরআগে বুধবার সকালে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গ্রেপ্তার পুলিশ সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানালে শুনানি শেষে আদালত ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এছাড়া এই ঘটনায় পুলিশ হেড কোয়াটার্সের গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্যরাও কক্সবাজার সদর মডেল থানায় আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এসময় মামলার বাদী রোজিনা খাতুনসহ আরো কয়েকজনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। কক্সবাজার সদর থানার ওসি শেখ মুনীরুল গীয়াস বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান- কক্সবাজারে এক নারীকে পিস্তল ঠেকিয়ে তিন লাখ টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ তদন্তে পুলিশ হেড কোয়াটার্সের পক্ষ থেকে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার সাইদুর রহমানকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দেয়া হয়েছে। বুধবার দুপুরে কমিটির সদস্যরা কক্সবাজার মডেল থানায় এসে রিমান্ডে থাকা তিন পুলিশ সদস্য উপপরিদর্শক (এসআই) নুর হুদা ছিদ্দিকী, কনস্টেবল আমিনুল মমিন ও মামুন মোল্লাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। একই সঙ্গে ভুক্তভোগী রোজিনা খাতুন ও কয়েকজন সাক্ষীর সঙ্গেও কথা বলেন তারা।
এদিকে, জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে অজ্ঞান হয়ে পড়েন ভুক্তভোগী নারী রোজিনা খাতুন। তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে বলে জানান রোজিনার স্বজনরা।
প্রসঙ্গত, সোমবার (১ মার্চ) বিকালে কক্সবাজার পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যম কুতুবদিয়াপাড়ার রিয়াজ আহমদের স্ত্রী রোজিনা খাতুন গ্যাসের দোকান করার জন্য তার আত্মীয়-স্বজন থেকে তিন লাখ টাকা সংগ্রহ করে বাড়ি ফেরার পর ৫/৬ জন সাদা পোশাকের লোক সিএনজিচালিত অটোরিকশাযোগে তার বসতবাড়িতে এসে তাকে ‘ইয়াবা ব্যবসায়ী’ আখ্যা দিয়ে টাকা দাবি করে। রোজিনা টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তার মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে বেধড়ক মারধর করে তার কাছে থাকা তিন লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয় সাদা পোশাকধারী পুলিশ সদস্যরা। পরে রোজিনার চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে গিয়ে অটোরিকশা থেকে একজনকে ধরে ফেলে এবং ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে কক্সবাজার সদর মডেল থানা পুলিশকে বিষয়টি জানায়। এরপর পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আটক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে থানা হেফাজতে নিয়ে যায়। সোমবার রাতে অভিযুক্ত ৩ পুলিশ সদস্যকে দ্রুত বিচার আইনের মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের সাময়িকভাবে বরখাস্তও করা হয়েছে।