কক্সবাজারে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের উপর গুলিবর্ষণ, ককটেল নিক্ষেপ ও হামলার অভিযোগে সাবেক হুইপ সাইমুম সরওয়ার কমলসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও অঙ্গসংগঠনের ৪শ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে আরো একটি মামলা করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের পক্ষে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী রামুর দক্ষিণ মিঠাছড়ি এলাকার মো. আলমের ছেলে সাহেদ বাবু বাদী হয়ে কক্সবাজার সদর থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফয়জুল আমিন নোমান এই তথ্য নিশ্চিত করে জানান, এ মামলার নম্বর ৩০/২০২৪, যার জিআর নম্বর ৬৬৫। মামলায় ৭৪ জনকে এজাহারনামীয় আসামি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন, সাবেক হুইপ সাইমুম সরওয়ার কমল, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান, সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাহীনুল হক মার্শাল, তার ভাই সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান কায়সারুল হক জুয়েল, যুবলীগের কেন্দ্রীয় সদস্য ইশতিয়াক আহমেদ জয়, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পিপি অ্যাড. সৈয়দ রেজাউর রহমান, ঝিলংজা ইউপি চেয়ারম্যান টিপু সুলতান, কক্সবাজার পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক উজ্জ্বল কর এবং পৌর আওয়ামী লীগ নেতা দীপক দাশ, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এস এম সাদ্দাম হোসাইন, কক্সবাজার কলেজ ছাত্রলীগের আহ্বায়ক রাজিবুল ইসলাম মোস্তাক ও মোনাফ সিকদার।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত ১৬ জুলাই বৈষম্যের প্রতিবাদে কক্সবাজার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটসহ কয়েকটি কলেজের শিক্ষার্থীরা কক্সবাজার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে একটি মিছিল বের করে কক্সবাজার কলেজের সামনে আসে। এসময় সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের আহ্বায়ক রাজিবুল ইসলাম মোস্তাকের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের উপর গুলিবর্ষণ ও ককটেল নিক্ষেপ করে এবং লোহার রড ও লাঠিসোঁটা দিয়ে হামলা করে। হামলায় বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী গুরুতর জখম হয়। আওয়ামী লীগের নেতাদের হুকুমে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সরাসরি এ হামলায় অংশ নেয়।
এ ব্যাপারে কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফয়জুল আমিন নোমান বলেন, বাদীর দায়ের করা এজাহার মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান জোরদার করা হবে। উল্লেখ্য, এর আগে কক্সবাজারে আওয়ামী নেতাদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলাসহ আরো কয়েকটি মামলা হয়েছে।