কক্সবাজার শহরের টেকপাড়া মাঝেরঘাট এলাকায় একটি অবৈধ পলিথিন কারখানার সন্ধান পেয়েছে র্যাব। এ সময় কারখানার মালিক ছাত্রলীগ নেতা কামরুল হাসানকে ২ লাখ জরিমানা করা হয়। জব্দ করা হয় প্রায় অর্ধকোটি টাকার অবৈধ পলিথিন। গত মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে শহরের টেকপাড়ার মাঝিরঘাট এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়।
কক্সবাজারস্থ র্যাব–১৫ এর আইন ও গণমাধ্যম শাখার সিনিয়র সহকারী পরিচালক এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আবুল কালাম চৌধুরী গতকাল বুধবার দুপুরে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, গোয়েন্দা সূত্রে র্যাবের কাছে তথ্য ছিল কঙবাজার শহরের বিভিন্ন জায়গায় নামে–বেনামে পরিবেশ আইন পরিপন্থী কয়েকটি অবৈধ পলিথিনের কারখানা গড়ে উঠেছে। এই তথ্যের ভিত্তিতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে র্যাবের একটি দল অভিযান চালিয়ে পলিথিনের একটি অবৈধ কারখানার সন্ধান পায়। কারখানাটিতে তল্লাশি চালিয়ে ৫৩০ বস্তা পলিথিন জব্দ করা হয়।
তিনি বলেন, পলিথিন উৎপাদনের সপক্ষে কারখানাটির মালিক পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমোদনসহ বৈধ কোনো কাগজপত্র উপস্থাপন করতে পারেননি। ফলে পরিবেশ সংরক্ষণ আইন–১৯৯৫ (সংশোধিত–২০১০) এর ধারা ৬–ক মোতাবেক পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর সামগ্রী উৎপাদন ও বিক্রয়ের অপরাধে এইচ. জে. এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারিকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। সে সাথে কারখানার মালিককে ভবিষ্যতে এ ধরনের পরিবেশ বিধ্বংসী কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকতে সতর্ক করা হয়েছে।
অভিযান সূত্রে জানা যায়, ছাত্রলীগ নেতা কামরুল হাসানের অবৈধ পলিথিন কারখানায় চালানো অভিযানে ঘটনাস্থল থেকে কঙবাজার শহর ছাত্রলীগ নেতা কামরুল হাসানসহ ৩ জনকে আটক করা হয়। পরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নওশের ইবনে হালিম এসে ২ লাখ টাকা জরিমানা করেন। জরিমানা দিয়ে ছাড় পান আটক ৩ জন। এ সময় ওই কারখানা থেকে জব্দ করা অর্ধকোটি টাকার অবৈধ পলিথিন পরিবেশ অধিদপ্তর কঙবাজারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এ বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নওশের ইবনে হালিম বলেন, অভিযানের খবর পেয়ে সেখানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়। এ সময় অবৈধ পলিথিন কারখানার মালিক কামরুল হাসানকে ২ লাখ টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে জেল দেওয়া হয়। পরে জরিমানা দিয়ে কারখানাটির মালিক ভবিষ্যতে অবৈধ পলিথিন বিক্রি করবে না মর্মে মুচলেকা দিয়ে ছাড় পান।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন র্যাব–১৫ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর সাইফুল ইসলাম সাইফ। তিনি বলেন, এই কারখানা থেকে জেলাজুড়ে পলিথিন বিস্তার হতো। পলিথিনের অবৈধ বাজারজাত বন্ধ করতে এই অভিযান চালানো হয়। অভিযানে ৩ ট্রাকের বেশি অবৈধ পলিথিন জব্দ করা হয়।
পরিবেশ অধিদপ্তর কঙবাজারের উপ–পরিচালক জমির উদ্দিন বলেন, অবৈধ পলিথিন জব্দের খবরে পরিবেশ অধিদপ্তরের টিম যায়। এ সময় বিপুল পরিমাণ অবৈধ পলিথিন জব্দ করা হয়।