কক্সবাজারে অপহরণের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। সংঘবদ্ধ অপরাধীচক্র মুক্তিপণ আদায়ের লক্ষ্যে ব্যবসায়ী, ছাত্র, শিশুসহ যাকে পাচ্ছে, তাকেই যেন অপহরণ করছে। গত পক্ষকালে কক্সবাজার ও কঙবাজার সন্নিহিত পার্বত্য এলাকায় অন্তত ১০ জন ব্যক্তি অপহরণের শিকার হয়েছেন। তাদের বেশিরভাগই মুক্তিপণ দিয়ে ফিরে এসেছেন। সর্বশেষ গতকাল বুধবার উদ্ধার হয়েছে শিশুসহ আরো দুজন। তারা হলেন শাহিনা আক্তার আঁখি (৭) ও কলেজ ছাত্র মো. আবদুল্লাহ।
গত ৮ মার্চ কক্সবাজার শহরের কলাতলী থেকে অপহৃত হয় আঁখি। গতকাল বুধবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে জাদিমুড়া ২৭নং ক্যাম্পের সি-২ ব্লকের নুর নাহারের বসত ঘর থেকে তাকে উদ্ধার করে ১৬ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন। তবে এ ঘটনায় জড়িত কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
অন্যদিকে ঈদগাঁও-রামু সড়কের পানেরছড়া ঢালা থেকে অপহৃত হন কলেজ ছাত্র আবদুল্লাহ। গত মঙ্গলবার সকাল ৭টার দিকে বোনের বিয়ের অনুষ্ঠানের জন্য কেনাকাটার উদ্দেশ্যে বের হন তিনি। পথিমধ্যে তাকে অপহরণ করে গভীর জঙ্গলে নিয়ে যাওয়া হয়। অপহরণের পর ৩ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপরাধীরা। পরে ৩০ হাজার টাকায় দফারফা হয় বলে জানিয়েছেন অপহৃতের চাচা মৌলভী ইউনুছ।
এর আগে গত ৭ মার্চ চকরিয়া থেকে অপহৃত হন ব্যবসায়ী নুরুল আবছার (৩৫)। অপহরণের ৫ দিন পর মুক্তিপণ দিয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। এর কয়েকদিন আগে রামুতে অপহৃত আরো ৫ জনকে মুক্তিপণ দিয়ে উদ্ধার করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আশপাশে অপহরণ একটি নিয়মিত ঘটনা। তবে সম্প্রতি কক্সবাজার শহর থেকে শুরু করে জেলার প্রত্যন্ত এলাকাতেও বেড়েছে অপহরণের ঘটনা। কক্সবাজারে কেবল চলতি মাসেই শিশুসহ অন্তত ৭ ব্যক্তি অপহরণের শিকার হয়েছে।
সামাজিক সংগঠন ‘আমরা কক্সবাজারবাসী’র সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী মনে করেন, সাম্প্রতিককালে কক্সবাজারে অপরাধীদের নেটওয়ার্ক বৃদ্ধি পেয়েছে। অপহরণকারীরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে চ্যালেঞ্জ করে যেভাবে অপহরণের ঘটনা ঘটিয়ে যাচ্ছে, তাতে জেলাজুড়ে অপহরণ আতংক তৈরি হয়েছে।












