কক্সবাজার সদর মডেল থানায় হামলা করা হয়েছে। গতকাল সোমবার বিকালে এই হামলা চালায় কিছু উচ্ছৃঙ্খল যুবক। এ সময় খবর পেয়ে থানা প্রাঙ্গণে ছুটে আসে সেনাবাহিনীর সদস্যরা। তারা বেরিকেড দিয়ে ২ ঘণ্টাব্যাপী থানা পাহারা দেন। পরে তাদের নিরাপত্তায় থানা ত্যাগ করেন পুলিশ সদস্যরা। পুলিশ চলে যাওয়ার পর শুরু হয় লুটপাটের মহোৎসব। এ সময় থানায় সংরক্ষিত প্রায় অর্ধশতাধিক মোটরসাইকেল, বাল্ব, ফ্যান ও মূল্যবান আসবাবপত্র লুট করা হয়। গভীর রাত পর্যন্ত চলে এই লুটপাট। রাত ১০টার দিকে সরেজমিনে দেখা যায়, থানা প্রাঙ্গণে সুনশান নিরাপত্তা। সেনাবাহিনীর নিরাপত্তায় পুলিশ নিরাপদে চলে গেছে। পরে থানা প্রাঙ্গণে সংরক্ষিত মোটরসাইকেল নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় আরও মূল্যবান সামগ্রীও লুট করা হয়।
এর আগে বিকালে থানায় হামলা চালানো হলে আত্মরক্ষার্থে পুলিশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে। পরে সেনাবাহিনীর টিম এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এছাড়া কয়েকটি আবাসিক হোটেল ও সরকারি–বেসরকারি বিভিন্ন স্থাপনায় ভাঙচুর করা হয়।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, সদর ও ঈদগাঁও থানায় হামলা ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। নিরাপদে রয়েছে পুলিশ সদস্যরা। সরকারি সম্পদ রাষ্ট্রের। যা রক্ষা করার দায়িত্ব জনগণের। তাই সরকারি স্থাপনা রক্ষায় সবাইকে এগিয়ে আসা উচিত।