চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে পর্যটন নগরী কক্সবাজারে নবনির্মিত রেলপথের প্রথম পরীক্ষামূলক ট্রেন চালুর (ট্রায়াল রান) সময় ২ নভেম্বরের পরিবর্তে আগামী ৭ নভেম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে। দোহাজারী স্টেশন থেকে নতুন ১টি ইঞ্জিনসহ ৭টি রেকের (কোচের) কম্পোজিশনে পরীক্ষামূলক ট্রেনটি আগামী ৭ নভেম্বর নবনির্মিত কক্সবাজার রুটের নতুন ১০২ কিলোমিটার পথে যাত্রা করবে। কক্সবাজার পৌঁছে ট্রেনটি আবার চট্টগ্রামের দোহাজারীতে ফিরে আসবে। পরীক্ষামূলক ট্রেনে রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন, রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদী স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীসহ দক্ষিণ চট্টগ্রামের এবং কক্সবাজারের সকল সংসদ সদস্য থাকবেন বলে জানা গেছে। এদিকে দোহাজারী– কক্সবাজার নব নির্মিত রেল লাইনের উদ্বোধনের ব্যাপারে গত ২৮ অক্টোবর আনোয়ারায় জনসভায় প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে চট্টগ্রামের উন্নয়নে একাধিক প্রকল্প বাস্তবায়ন ও উদ্বোধনের ব্যাপারে বলেন, চট্টগ্রাম কক্সবাজার
মহাসড়ক ৬ লাইনে উন্নীতকরণের কাজ শুরু করছি। শীঘ্রই দোহাজারী– কক্সবাজার রেল লাইনের উদ্বোধন করা হবে। উদ্বোধনের জন্য আমি কক্সবাজার যাবো।
এই ব্যাপারে কক্সবাজার রেল লাইন প্রকল্পের অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মুহম্মদ আবুল কালাম চৌধুরী আজাদীকে বলেন, দোহাজারী–কক্সবাজার রেল লাইনের কাজ শেষ হয়েছে। আমরা বেশ কয়েকবার ট্রলি চালিয়েছি। পরীক্ষামূলক ট্রেন ২ তারিখের পরিবর্তে আগামী ৭ নভেম্বর চলবে। কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে ৭ নভেম্বর দোহাজারী স্টেশন থেকে যাত্রা শুরু করা হবে। এদিকে কালুরঘাট সেতুর মেরামতের কাজও অনেক এগিয়েছে। ৭ নভেম্বরের আগে ট্রেন চলাচলের উপযোগী হবে বলে সেতুর কাজ যারা করছেন তারা জানিয়েছেন।
অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মুহম্মদ আবুল কালাম চৌধুরী বলেন, ট্রায়াল রানের পর ১২ নভেম্বর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করবেন। উদ্বোধনের তারিখ ঠিক আছে।
ইতোমধ্যে আমাদের কয়েকটি স্টেশনের কাজ শেষ হয়েছে। দোহাজারী, সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, হারবাং, চকরিয়া, ডুলাহাজারা, ইসলামাবাদ, রামু ও কক্সবাজার এসব স্টেশনে থাকবে কম্পিউটার বেইজড ইন্টারলক সিগন্যাল সিস্টেম এবং ডিজিটাল টেলিকমিউনিকেশন সিস্টেম। দোহাজারী থেকে চকরিয়া এবং চকরিয়া থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেলপথে ৩৯টি ব্রিজ ও আন্ডারপাসসহ ২৫১টি কালভার্ট নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। ইতোমধ্যে ঢাকা–চট্টগ্রাম–কক্সবাজার এবং চট্টগ্রাম–কক্সবাজার রুটে কয়েকটি নতুন ট্রেন চালুর জন্য সময়সূচি নির্ধারণ করে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপকের কার্যালয় থেকে ঢাকা রেল ভবনে পাঠানো হয়েছে।