কক্সবাজার রেললাইনের উদ্বোধনের এক বছর পর চট্টগ্রাম থেকে পর্যটন নগরী কক্সবাজারে দুইজোড়া ট্রেন চলাচল শুরু হচ্ছে। প্রবাল ও সৈকত এক্সপ্রেস নামে দুইজোড়া আন্তঃনগর ট্রেন আজ থেকে স্থায়ীভাবে চলাচল শুরু হচ্ছে এই রুটে। আজ উদ্বোধনী দিনে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারগামী প্রথম ট্রেনের (সৈকত এক্সপ্রেস) সকল টিকিট বিক্রি শেষ হয়েছে বলে জানান চট্টগ্রাম স্টেশন মাস্টার আবু জাফর মজুমদার। তিনি বলেন, আজ ভোর ৬টা ১৫ মিনিটে চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে প্রথম আন্তঃনগর ট্রেন সৈকত এক্সপ্রেস। ট্রেনটি ষোলশহর, জানালীহাট, পটিয়া, দোহাজারী, সাতকানিয়া, চকরিয়া, ডুলাহাজারা ও রামু স্টেশনে থামবে। কক্সবাজার পৌঁছাবে ৯টা ৫৫ মিনিটে। সৈকত এক্সপ্রেস কক্সবাজার থেকে ছাড়বে রাত ৮টা ১৫ মিনিটে, চট্টগ্রাম পৌঁছাবে রাত ১১টা ৫০ মিনিটে।
চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনের ম্যানেজার আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারের সর্বনিম্ন ভাড়া (শোভন চেয়ার) ধরা হয়েছে ১৮৫ টাকা এবং সর্বোচ্চ ভাড়া নির্ধারণ (প্রথম শ্রেণি) করা হয়েছে ৩৪০ টাকা। প্রথমে ভোর ৬টা ১৫মিনিটে চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে সৈকত এক্সপ্রেস ছেড়ে যাবে। তিনি বলেন, সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটে কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে ছাড়বে প্রবাল এক্সপ্রেস। সৈকত ও প্রবাল এক্সপ্রেস নন এসি হলেও এই দুটি ট্রেন আন্তঃনগর। এই দুটি ট্রেনে খাবারের গাড়িও রয়েছে বলেও জানান তিনি।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের চীফ অপারেটিং সুপারিন্টেন্ডেন্ট কার্যালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ট্রেন দুটি হলো ৮২১/৮২৪ (সৈকত এক্সপ্রেস) ও ৮২২/৮২৩ (প্রবাল এক্সপ্রেস)। ট্রেন দুটি প্রতি সপ্তাহে সোমবার বন্ধ থাকবে।
ট্রেনের সময়সূচি : রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সৈকত এক্সপ্রেস প্রথমে চট্টগ্রাম থেকে ছাড়বে ভোর ৬টা ১৫ মিনিটে। কক্সবাজার পৌঁছাবে ৯টা ৫৫ মিনিটে।
ট্রেনটি ষোলশহর, জানালীহাট, পটিয়া, দোহাজারী, সাতকানিয়া, চকরিয়া, ডুলাহাজারা ও রামু স্টেশনে থামবে।
সৈকত এক্সপ্রেস কক্সবাজার থেকে ছাড়বে রাত ৮টা ১৫ মিনিটে, চট্টগ্রাম পৌঁছাবে রাত ১১টা ৫০ মিনিটে। অন্যদিকে প্রবাল এক্সপ্রেস থামবে ষোলশহর, গোমদন্ডী, পটিয়া, দোহাজারী, সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, চকরিয়া, ডুলাহাজারা, ইসলামাবাদ ও রামু স্টেশনে। প্রবাল এক্সপ্রেস কক্সবাজার থেকে ছাড়বে সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটে, চট্টগ্রাম পৌঁছাবে দুপুর ২টা ২৫ মিনিটে। চট্টগ্রাম থেকে ছাড়বে বিকেল ৩টা ১০ মিনিটে, কক্সবাজার পৌঁছাবে সন্ধ্যা ৭টায়।
রেলওয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, কক্সবাজার রুটের পর্যটকদের পাশাপাশি স্থায়ীদের মধ্যেও ট্রেনের চাহিদা রয়েছে। দুর্ঘটনাপ্রবণ চট্টগ্রাম–কক্সবাজার মহাসড়কে গাড়ির চেয়ে রেলের ভাড়া তুলনামূলক কম হওয়ায় এই রুটে ট্রেন জনপ্রিয়তা পেয়েছে।