আগের দিন এশিয়া চ্যাম্পিয়ন শ্রীলংকাকে উড়িয়ে দিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম পর্বে চমক দেখিয়েছিল নামিবিয়া। সে চমক এবার অব্যাহত রেখেছে স্কটল্যান্ড। তাদের শিকার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সাবেক চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দুইবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৪২ রানে হারিয়েছে স্কটল্যান্ড। স্কটিশরদের করা ১৬০ রানের জবাবে ব্যাট করতে নামা ক্যারিবীয়রা ১১৮ রানে অলআউট হয়। ফলে ৪২ রানের জয় তুলে নেয় স্কটল্যান্ড।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে জর্জ মানসির ৫৩ রানের অপরাজিত ৬৬ রানের উপর ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৬০ রানের পুঁজি দাঁড় করায় স্কটল্যান্ড। শুরুতেই জর্স মানসি এবং মিচেল জোন্স দুর্দান্ত সুচনা এনে দেন। পাওয়ার প্লেতেই দলীয় অর্ধশতক তুলে নেন এই দুই ওপেনার। এরপর দ্রুতই দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে স্কটল্যান্ড। দলীয় ৫২ রানে মিচেল জোন্স ফিরেন ২০ রান করে। আর ৬৩ রানের মাথায় ম্যাথিউ ক্রসকে হারায় স্কটিশরা। এরপর তৃতীয় উইকেটে ১৬ রান করা রিচি বেরিংটন কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করলেও তিনি ফেরেন দলীয় ৮৬ রানের মাথায়। অন্যরা আসা যাওয়ার মিছিলে থাকলেও এক প্রান্ত আগলে রাখেন জর্জ মানসি। ৫৩ বলে ৬৬ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। এছাড়া কলাম ম্যাকলেওড ১৪ বলে ২৩ রানের ক্যামিওতে স্কটিশদের সংগ্রহ ছাড়ায় দেড়শ। ক্যারিবীয়দের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন আলজারি জোসেপ এবং জেসন হোল্ডার। একটি উইকেট নেন ওডিন স্মিথ।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৯ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে ক্যারিবীয়রা। এরপর আর ম্যাচে ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি তারা। কাইল মায়ার্স এবং এভিন লুইসের উদ্বোধনী জুটি ভাঙে ২০ রানে। এরপর দ্বিতীয় উইকেটে ব্রেন্ডন কিংকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন এভিন লুইস। দ্বিতীয় উইকেটে ৩৩ রান তোলে এই দুই ব্যাটার। তবে ষষ্ঠ ওভারে হুইলের বলে এভিন লুইস ফিরলে ভাঙে এই জুটি। এরপরেই ক্যারিবীয়দের ব্যাটিং অর্ডার ভেঙে পড়ে। ৫৮ রানে ব্রেন্ডন কিং ১৭ রান করে এবং ৬২ রানের মাথায় ৫ রান করা নিকোলাস পুরান ফিরলে চাপে পড়ে উইন্ডিজ। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে ক্যারিবীয়রা। আর ম্যাচে ফেরা হয়নি দুইবারের চ্যাম্পিয়নদের। শেষ পর্যন্ত ৯ বল বাকি থাকতে ১১৮ রানে অল আউট হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দলের পক্ষে জেসন হোল্ডার ৩৩ বলে ৩৮ রান করলেও ক্যারিবীয়দের সাতজন ব্যাটার ফিরেছেন দুই অংকের ঘরে যাওয়ার আগে। স্কটল্যান্ডের পক্ষে মার্ক ওয়াট ১২ রান খরচায় তুলে নেন ৩ উইকেট।