চট্টগ্রাম ওয়াসার গড় বিল রহিতকরণে (বাতিলে) গঠিত তদন্ত কমিটির রিপোর্ট গতকাল মঙ্গলবার ৬২তম বোর্ড সভায় উপস্থাপন করা হলেও তা গ্রহণ করা হয়নি। পানির গড় বিল বিষয়ে পর্যালোচনা ও ভবিষ্যৎ করণীয় নির্ধারণে তিন সদস্যের উচ্চ পর্যায়ের আরেকটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি ৬৩তম বোর্ড সভায় গড় বিল রহিতকরণে বিস্তারিত পরামর্শ উপস্থাপন করবে।
এ ব্যাপারে ওয়াসার বোর্ড সভার সদস্য সাংবাদিক মহসীন কাজী আজাদীকে বলেন, ওয়াসার ৬১তম বোর্ড সভায় গড় বিল বাতিলের জন্য আমি প্রস্তাব উপস্থাপন করলে উপস্থিত সবাই ওই প্রস্তাবে একমত পোষণ করেন। এরই প্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম ওয়াসার ডিএমডিকে (ফাইন্যান্স) প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। গতকাল ৬২তম বোর্ড সভায় গড় বিলের তদন্ত রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়। তবে তাতে গড় বিলের উৎপত্তি এবং গড় বিল রহিতকরণে সুনির্দিষ্ট কোনো প্রস্তাবনা না থাকায় বিষয়টি আরো অধিকতর তদন্ত করে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনার জন্য উচ্চ পর্যায়ের তিন সদস্যের আরেকটি কমিটি গঠন করা হয়। গড় বিল চিরতরে রহিতকরণের জন্য সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনা আগামী বোর্ড সভায় উপস্থাপন করবে এই কমিটি। গড় বিলের বিষয়ে তদন্ত কমিটির প্রধান চট্টগ্রাম ওয়াসার উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অর্থ) মো. শামসুল আলম আজাদীকে বলেন, পানির গড় বিল নিয়ে আমার তদন্ত রিপোর্ট এবারের বোর্ড সভায় পাস হয়নি। গড় বিলের বিষয়টি আরও অধিকতর যাচাই-বাছাইয়ে আরেকটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির প্রধান করা হয়েছে ওয়াসার বোর্ড সদস্য সাংবাদিক মহসীন কাজীকে। কমিটির সদস্য করা হয়েছে ইঞ্জিনিয়ার জাফর আহমদ সাদেক ও আমাকে। এই কমিটিকে আগামী বোর্ড সভায় গড় বিল কীভাবে রহিত করা যায় তার বিস্তারিত রিপোর্ট উপস্থাপনের জন্য বলা হয়েছে।
জানা গেছে, ২০০০ সালে ১৬৫তম একটি অভ্যন্তরীণ বোর্ড সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক গড় বিল আদায় করে আসছে ওয়াসা কর্তৃপক্ষ। নগরীর যেসব এলাকায় বছরের পর বছর পানির মিটার নষ্ট সেসব এলাকায় গড় বিল দেওয়া হচ্ছে। অপরদিকে অনেক জায়গায় মিটার রিডার না গিয়ে গড় বিল দিয়ে দেন। এই দুই কারণে ২০০০ সাল থেকে চট্টগ্রাম ওয়াসায় গড় বিল প্রথা চালু হয়েছে।
চট্টগ্রাম ওয়াসার রাজস্ব বিভাগের এক কর্মকর্তা আজাদীকে জানান, নগরীতে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি আবাসিক গ্রাহক ও বাণিজ্যিক গ্রাহকদের কাছে ওয়াসার ১শ কোটিরও বেশি টাকার বিল পাওনা রয়েছে। এখানে গড় বিলও রয়েছে।