আনোয়ারায় পুলিশ পরিচয়ে দুই ব্যবসায়ীর কাছ থেকে টিভি, ফ্যান ও ফ্রিজ নিয়ে গেছে এক প্রতারক। গত শুক্রবার দুপুর ১২টায় উপজেলার বন্দর সেন্টার ও বটতলী রুস্তম হাটে এ ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে গতকাল শনিবার দুপুরে ক্ষতিগ্রস্ত দুই ব্যবসায়ী জিয়াউল হক ও মোহাম্মদ ইব্রাহিম আনোয়ারা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এ ঘটনা জানার পর গতকাল আনোয়ারা থানার ওসি মনির হোসেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সতর্কতামূলক একটি পোস্ট করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার রাতে প্রতারক চক্রের সদস্য ভোক্তভোগীদের মুঠোফোনে কল দিয়ে নিজের পরিচয় দেন তিনি আনোয়ারা থানার ওসি মো. মনির হোসেন। মুঠোফোনে তাদের কাছ থেকে কিছু পণ্য কেনার কথা জানায়। এরপর শুক্রবার সকালে বন্দর সেন্টারের আল–মদিনা ইলেক্ট্রনিঙ থেকে ১টি ৩২ ইঞ্চি স্মার্ট টিভি এবং দুইটি সিলিং ফ্যান ও বটতলী রুস্তম হাটের শাহ আমানত ইলেকট্রনিঙ থেকে ১টি ফ্রিজ ওসি পরিচয় দেওয়া ব্যক্তি তার পাঠানো পিক–আপে তুলে দিতে বলেন। এসব পণ্যের মূল্য বিকাশে কিংবা তার অধিনস্থ অফিসার পাঠিয়ে বিকেলে পরিশোধ করা হবে বলে জানায়। এরপর ব্যবসায়ীরা বিকালে বিক্রিত মালামালের টাকা না পাঠালে ওই নম্বরে কল দিলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। এরপর তাদের সন্দেহ হলে থানায় গিয়ে খোঁজ–খবর নিয়ে জানতে পারেন প্রতারণার নতুন ফাঁদে পড়ে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী জিয়াউল হক জানান, প্রতারণা চক্রটি আনোয়ারা থানার ওসি পরিচয় দিয়ে আমার দোকান থেকে এলইডি টিভি ও সিলিং ফ্যানের মূল্য বিকালে পরিশোধ করবে বলে মালামাল নিয়ে যান। ওসির ছবি সংযুক্ত হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বার থেকে কল আসায় সত্যতা যাচাই না করে প্রতারক চক্রের পাঠানো গাড়িতে মালামালগুলো তুলে দিয়েছি। পরে প্রতারণার শিকার হয়েছি তা নিশ্চিত হওয়ার পর আইনের আশ্রয় নিয়েছি।
আনোয়ারা থানার ওসি মো. মনির হোসেন জানান, ব্যবসায়ীরা যদি সতর্কতা অবলম্বন করত, পুলিশ পরিচয়ে বাকিতে মালামাল চাওয়ার পর ব্যবসায়ীরা যদি একটু যাচাই–বাছাই করতো তাহলে প্রতারক চক্রটি হাতেনাতে ধরা সম্ভব হত। তারাও ক্ষতিগ্রস্ত হতো না। এই ব্যাপারে পুলিশের নাম ভাঙিয়ে বা অন্য যেকোন কর্মকর্তার নামে বাকিতে মালামাল বা বিকাশে টাকা চাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বনসহ পুলিশকে জানানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।