সেই ১৯৩০ সাল থেকে টেস্ট ম্যাচ হয়ে আসছে বেসিন রিজার্ভে। নিউজিল্যান্ডে সবচেয়ে বেশি টেস্ট ম্যাচ হয়েছে ওয়েলিংটনের এই মাঠেই, টেস্ট বিশ্বে এই ভেন্যুর অবস্থান অষ্টম। স্যার রিচার্ড হ্যাডলি থেকে শুরু করে কোর্টনি ওয়ালশ, ওয়াসিম আকরাম, ড্যানি মরিসন, ট্রেন্ট বোল্টসহ আরও কত বোলারের কত স্মরণীয় পারফরম্যান্স আছে এখানে। এই মাঠে ক্রিস মার্টিনের রেকর্ড তো দুর্দান্ত। কিন্তু এত বছরেও একটি হ্যাটট্রিক ছিল না এখানে। সেই অপূর্ণতা এবার ঘুচিয়ে দিলেন গাস অ্যাটকিনসন। ওয়েলিংটনের দর্শকদের অবশ্য আক্ষেপ থাকতে পারে। অনেক ইতিহাসের স্বাক্ষী এই মাঠের প্রথম হ্যাটট্রিক হলো যে স্বাগতিকদের বিপক্ষেই! নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে চলতি টেস্টের দ্বিতীয় সকালে হ্যাটট্রিক উপহার দেন ইংলিশ পেসার অ্যাটকিনসন। গতকাল শনিবার সকালে নিউজিল্যান্ডের শেষ তিন উইকেট টানা তিন বলে নিয়ে ইতিহাসে নাম লেখান ২৬ বছর বয়সী পেসার। বাড়তি লাফানো বল ছাড়তে গিয়ে একটু দেরি করে ফেলেন ন্যাথান স্মিথ। বল তার ব্যাটে লেগে ছোবল দেয় স্টাম্পে। আরেকটি বাড়তি লাফানো দারুণ ডেলিভারির জবাব ছিল না ম্যাট হেনরির। ক্যাচ তুলে দেন তিনি গালিতে। হ্যাটট্রিক বলটির জন্য লেগ সাইডে সীমানায় ফিল্ডার রাখেন অ্যাটকিনসন। ব্যাটসম্যানকে বোঝাতে চান যে, শর্ট বল আসছে। কিন্তু ব্যাটসম্যানকে বিভ্রান্ত করে ডেলিভারিটি করেন ফুল লেংথ ও সোজা। বল ছোবল দেয় টিম সাউদির প্যাডে। আম্পায়ার আঙুল তুলে দিতেই উল্লাসে মাতেন অ্যাটকিনসন ও সতীর্থরা। মুহূর্তেই অবশ্য থামতে হয় তাদের। রিভিউ নেন সাউদি। তবে রিভিউয়ের ফল দ্বিতীয়বার উল্লাসে মেতে ওঠার সুযোগ করে দেয় তাদের। ৫ উইকেটে ৮৬ রান নিয়ে দিন শুরু করা নিউজিল্যান্ড গুটিয়ে যায় ১২৫ রানেই। ইংল্যান্ড পায় ১৫৫ রানের লিড। ব্রাইডন কার্স ও অ্যাটকিনসন নেন চারটি করে উইকেট। টেস্ট ক্রিকেটের ১৪৭ বছরের ইতিহাসে হ্যাটট্রিক হলো এই নিয়ে ৪৭টি। ইংল্যান্ডের হয়ে হ্যাটট্রিক করা ১৪তম বোলার অ্যাটকিনসন। সবশেষটি ছিল ২০১৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মইন আলির।