এএইচএফ কাপ হকির ফাইনালে উঠা হলো না বাংলাদেশের। ওমানের কাছে সেমিফাইনালে হেরে গিয়ে বিদায় নিতে হলো তাদের। শুরুতে পিছিয়ে পড়ার ধাক্কা সামলে নিয়েছিল বাংলাদেশ। ঘুরে দাঁড়িয়ে এগিয়ে গেল। ওমানও দিল পাল্টা জবাব। উত্থান–পতনের উত্তেজনায় ঠাসা ম্যাচে শেষ পর্যন্ত হেরেই গেল বাংলাদেশ। এএইচএফ কাপ হকির সেমি–ফাইনালে হেরে যাওয়ায় এশিয়ান কাপে খেলার স্বপ্নও গুঁড়িয়ে গেল তাদের। এই প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের টানা চারবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মুকুটও খসে পড়ল। ১৯৮২ সাল থেকে শুরু হয়েছে এশিয়া কাপ হকির আসর। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই বাংলাদেশ এই টুর্নামেন্টের প্রতি আসরই খেলে আসছে। ১৯৮৫ ও ২০১৭ দুই বার এশিয়ান হকির সর্বোচ্চ আসরের স্বাগতিকও হয়েছিল। এশিয়া কাপ হকির বাছাইপর্ব এএইচএফ কাপ টুর্নামেন্ট। এই টুর্নামেন্টের দুই ফাইনালিস্ট এশিয়া কাপ খেলার সুযোগ পায়। বাংলাদেশ এএইচএফ কাপে তিনবার চ্যাম্পিয়ন হয়ে এশিয়া কাপের মূলপর্বে খেলেছে বিগত তিন আসরে।
এ বছর ভারতে হতে যাওয়া এশিয়ান কাপে খেলার আশা ভেস্তে যাওয়ায় বাংলাদেশ এখন খেলবে তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে। এই প্রতিযোগিতার সেরা দুই দল পাবে এশিয়ান কাপে খেলার টিকেট। ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় শুক্রবার প্রথম সেমি–ফাইনালে ওমানের বিপক্ষে ৫–৪ গোলে হেরেছে বাংলাদেশ। গত এশিয়ান গেমসে সবশেষ দেখায় তাদের বিপক্ষে ৪–৩ গোলে হারের প্রতিশোধ নিতে পারল না মামুনুরের দল। মূল পর্বের সবগুলো ম্যাচ জয়ের আত্মবিশ্বাস নিয়ে খেলতে নামা বাংলাদেশ পিছিয়ে পড়ে অষ্টম মিনিটে, আল–নৌফালির ফিল্ড গোলে। প্রথম কোয়ার্টারে পেনাল্টি কর্নার থেকে সমতা ফেরায় বাংলাদেশ; জোরালো হিটে লক্ষ্যভেদ করেন সোহানুর রহমান সবুজ। দ্বিতীয় কোয়ার্টারে ওমানকে চাপ দিতে থাকে বাংলাদেশ। ২৪তম মিনিটে পেনাল্টি কর্নার থেকে আশরাফুল ইসলামের গোলে এগিয়ে যায় দল। এরপর দ্রুত ছন্দ হারিয়ে দুই গোল হজম করে বাংলাদেশ। ২৭তম মিনিটে আল ফাজারি রাশিদ সমতা ফেরানোর পর ওমানকে ফিল্ড গোলে এগিয়ে নেন আল ফাহাদ। তৃতীয় কোয়ার্টারে আল আলিয়াস সার্কেলের ভেতর থেকে আলতো টোকায় ব্যবধান আরও বাড়ান। এই কোয়ার্টারে সপ্তম মিনিটে সতীর্থে লং হিট থেকে পাওয়া বল সার্কেলের ভেতরে দারুণভাবে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে লক্ষ্যভেদ করে ম্যাচ জমিয়ে তোলেন ওবায়দুল হোসেন জয়। এই কোয়ার্টারের শেষ দিকে আল ফারাজির গোলে ফের কোণঠাসা হয়ে পড়ে বাংলাদেশ। চতুর্থ কোয়ার্টারে ঘুরে দাঁড়াতে যে মরিয়া চেষ্টার প্রয়োজন ছিল, তা প্রতিচ্ছবি দেখা যায়নি মিমো–রাকিবুলদের খেলায়। এর মধ্যেও ৫৪তম মিনিটে পেনাল্টি স্ট্রোক থেকে ব্যবধান কমিয়ে ফিকে হয়ে যাওয়া আশা নতুন করে জাগান সবুজ, কিন্তু বাকি সময়ে বাংলাদেশ আর পায়নি সমতায় ফেরা গোলের দেখা।