জল ভরা জলাধারে জীবন নেই।
উজানের টেউয়ে স্রোত নেই।
দো–পাট্টার ভাঁজে সমুদ্রের
গভীরতার তানপুরা নেই।
শ্যাওলার শেকড়ে শামুকের ডিম নেই।
ফাঙ্গাস পড়া ঠোঁটে প্রাণের লালা নেই।
বুকের শহরে সবুজের পেলবতা নেই।
লক্ষ লক্ষ বছর আমি সে জলাধারে
ফসিল হয়ে ডুবে আছি,
তোমার একটু ছোঁয়ার প্রলোভনে।
রূপার কাঠি নয়, সোনার কাঠি নয়,
আজ জীবন জাগবে তোমার একটু আলতো ছোঁয়ায়।
তুমি কি একবারও ছোঁবে না, মৃত নয়,
অথচ মৃত্যুর গুপ্ত গুহায় জড়িয়ে থাকা একটি
সামর্থ্যবান কঙ্কালকে?
শোক মুছে সুখ দাও। কাঁটা তুলে পথ দাও।
আবার জেগে উঠবে প্রাণ। জড়িয়ে যাবে সবুজ।
ঠোঁটের শহরে কুয়াশার ভেজা ভেজা ঘাসের ডগায়
জ্বলবে সোনালী আলো। সুরে সুরে বাজবে তানপুরা।
আর কি আসবে না, ভালোবাসবে না,
লাল সবুজের ছিন্ন–ভিন্ন মরমী জলে
ভাসাবে না তোমার স্বপ্ন?
আর অভিমান নয়, আর নয় দূরে থাকা,
এবার শুধু প্রাপ্তির শেকড় পুঁতে দাও অস্থির নাভীমূলে।
ওগো হ্যামিলনরে বাঁশিওয়ালা, আরেকবার,
শুধু আরেকবার এসে ছুঁয়ে দিয়ে যাও আমার এই জীবন।
আমি তোমার প্রতিটি লোমকূপে জ্বালিয়ে দেবো–
বজ্র আগুনের শিহরিত সমাগম।