ঐক্য-সম্প্রীতির এ দেশে বিএনপির মূলমন্ত্র বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ

চান্দগাঁওয়ে সমপ্রীতি সমাবেশে মীর হেলাল

আজাদী প্রতিবেদন | বৃহস্পতিবার , ১৭ অক্টোবর, ২০২৪ at ৪:৩১ পূর্বাহ্ণ

বাংলাদেশে সংখ্যালঘুর উপর হামলার প্রতিটি ঘটনার সঙ্গে আওয়ামী লীগ জড়িত বলে দাবি করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহসাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন।

তিনি বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে সকল সমপ্রদায়ের লোকজন নিরাপদে ছিলেন। ঐক্য ও সমপ্রীতির দেশ হচ্ছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ হচ্ছে বিএনপির মূলমন্ত্র। যারা জাতীয়তাবাদী শক্তিকে বিশ্বাস করেন, এটার মূল উৎস হচ্ছেযে যার যার ধর্ম ও সংস্কৃতি পালন করবে। এটা বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের একটি অংশ। এর মধ্যে সব ধর্ম, ভাষা ও ইতিহাসের মানুষ আছে। সবাই মিলে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ। তবে অনেকেই এটা হৃদয়ে ধারণ করে না। বিএনপিই এটাকে হৃদয়ে ধারণ করে। আর যারা বাঙালি জাতীয়তাবাদের কথা বলে তারাই বৌদ্ধদের মন্দির ভাংচুর করে।

তিনি গতকাল বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদেন প্রবারণা পূর্ণিমা উদযাপন উপলক্ষে চান্দগাঁও বাহির সিগনাল বড়ুয়া পাড়ায় বৌদ্ধ বিহারে সমপ্রীতি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। এতে প্রধান বক্তা ছিলেন নগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহ। বিশেষ অতিথি ছিলেন নগর বিএনপির সদস্য সচিব নাজিমুর রহমান ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সাথী উদয় কুসুম বড়ুয়া।

এদিকে প্রবারণা পূর্ণিমা উপলক্ষে গতকাল সন্ধ্যায় এরশাদ উল্লাহ ও নাজিমুর রহমানের নেতৃত্বে চট্টগ্রামের বিভিন্ন বৌদ্ধ বিহার পরিদর্শন করেন নেতৃবৃন্দ। চান্দগাঁও সার্বজনীন বৌদ্ধ বিহার, কাতালগঞ্জ নবপন্ডিত বৌদ্ধ বিহার ও নন্দনকানন বৌদ্ধ বিহারে গিয়ে বৌদ্ধ সমপ্রদায়ের মানুষের সাথে মৈত্রীময় শুভেচ্ছা বিনিময় করেন এবং ফানুস ওড়ানোতে অংশ নেন। নেতৃবৃন্দ তাদের বক্তব্যে বৌদ্ধ সমপ্রদায়কে প্রবারণা পূর্ণিমার শুভেচ্ছা জানান।

এ সময় এরশাদ উল্লাহ বলেন, আজকে সারাবিশ্বে রক্তপাত, সংঘাত ও সংঘর্ষে মানবজাতি ক্ষতবিক্ষত। এ শ্বাসরুদ্ধকর মুহূর্তে গৌতম বুদ্ধের হিতোপদেশ মানুষকে অহিংসার পথে, ন্যায়ের পথে চালিত করবে। বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদই সবাইকে একই বন্ধনে আবদ্ধ করে। শত বাঁধা বিপত্তির মধ্যেও আমাদের দীর্ঘ প্রত্যাশিত শান্তি ফিরে আসবে।

নাজিমুর রহমান বলেন, চট্টগ্রাম অঞ্চলে বৌদ্ধদের মূল বসবাসের জায়গা। আমরা চাই, সকলেই রাষ্ট্রের সমান অধিকার ভোগ করবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা হারুন জামান, ইকবাল চৌধুরী, কাজী বেলাল উদ্দিন, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, মো. আজম, এস লোকজিত মহাস্থবির, রুবেল বড়ুয়া, কমল জ্যোতি বড়ুয়া, রঞ্জিত বড়ুয়া, বাপ্পি দে, সজল বড়ুয়া, জুয়েল বড়ুয়া, দেবাশীষ বড়ুয়া নিরু, চয়ন বড়ুয়া, মোহন বড়ুয়া, নিশাত বড়ুয়া, জয় বড়ুয়া, উজ্জ্বল বড়ুয়া, আকাশ বড়ুয়া, মিঙন বড়ুয়া, প্রদীপ বড়ুয়া, বিপ্লব বড়ুয়া, সাচিং মারমা, পলাশ মারমা, উপ্রাচিং মারমা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবাঁশখালীতে অগ্নিকাণ্ড, পুড়েছে ছয় বাড়ি
পরবর্তী নিবন্ধহাইকোর্ট ঘেরাওয়ে শিক্ষার্থীরা, আইনজীবীদের বিক্ষোভ মিছিল