‘বাংলাদেশে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের সাথে সাথে অব্যাহতভাবে ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর বাড়ি–ঘর, মঠ–মন্দির, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ–লুটপাটসহ হত্যা, শ্লীলতাহানি করে দেশের প্রতি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের আস্থাহীনতা ও মানুষের জীবন দুর্বিসহ করে তুলেছে সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী ও চিহ্নিত দুষ্কৃতিকারীরা। অবিলম্বে চট্টগ্রামসহ বাংলাদেশের প্রতিটি এলাকায় সংগঠিত সকল ঘটনা তদন্ত করে দোষীদের শাস্তির আওতায় এনে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ ও সকলের নিরাপদ বসবাস নিশ্চিত করতে হবে। অন্যথায় অসাম্প্রদায়িক শক্তিকে সাথে নিয়ে এদেশের হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ও আদিবাসীরা এ সকল অপশক্তির বিরুদ্ধে বৃহত্তর গণ–আন্দোলন গড়ে তুলবে এবং সংগঠিত সকল সাম্প্রদায়িক সহিংসতা দ্রুত বন্ধে আশু পদক্ষেপ গ্রহণপূর্বক অপরাধীদের দ্রুত বিচারের আওতায় এনে শাস্তি প্রদানের জন্য অন্তবর্তীকালীন সরকারের নিকট জোর দাবি জানাই।’
গতকাল বিকাল ৪টায় আন্দরকিল্লা চত্বরে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ ও সংখ্যালঘু সংগঠন ঐক্য মোর্চ্চা–চট্টগ্রাম আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা একথা বলেন। ঐক্য পরিষদের মহানগর সভাপতি প্রকৌশলী পরিমল কান্তি চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও অ্যাডভোকেট প্রদীপ চৌধুরীর সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ঐক্য পরিষদ উত্তর জেলার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ইন্দু নন্দন দত্ত, দক্ষিণের সভাপতি তাপস হোড়, মহানগর সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নিতাই প্রসাদ ঘোষ, জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী প্রবীর সেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট চন্দন তালুকদার, মহানগর পূজা পরিষদের সভাপতি লায়ন আশীষ ভট্টাচার্য ও সাধারণ সম্পাদক হিল্লোল সেন উজ্জ্বল প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন, বৈষম্য বিলোপ আইন, সংখ্যালঘু কমিশন, দেবোত্তর সম্পত্তি সুরক্ষা আইন, পার্বত্য শান্তি চুক্তিসহ ঐক্য পরিষদ ঘোষিত ৭দফা দাবি দ্রুত বাস্তবায়নের লক্ষে বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল আন্দরকিল্লা হতে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রেস ক্লাবে গিয়ে শেষ হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।