এস আলমের বাসার সামনে ফার্স্ট সিকিউরিটি ব্যাংক কর্মকর্তাদের অবস্থান কর্মসূচি

বিপুল বকেয়া

আজাদী প্রতিবেদন | বুধবার , ১১ ডিসেম্বর, ২০২৪ at ৭:৩২ পূর্বাহ্ণ

বিনিয়োগের বকেয়া টাকা আদায়ে এবার ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান এবং এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম মাসুদের বাসার সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন ব্যাংকটির কর্মকর্তারা। গতকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টায় নগরীর পাঁচলাইশ সুগন্ধা আবাসিক এলাকার ১ নম্বর সড়কের ৫৭/এ এস আলম হাউস এর সামনে এই অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের চট্টগ্রাম অঞ্চল ও নগরীর ১২টি শাখার প্রায় দেড় শতাধিক কর্মকর্তা। এসময় এস আলম হাউসের প্রধান ফটক বন্ধ ছিল। এসময় ব্যাংকের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা সাংবাদিকদের বলেন, বকেয়া বিনিয়োগ আদায়ে ব্যাংকটির প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশে তারা এই অবস্থান কর্মসূচি পালন করতে এখানে এসেছেন। অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেয়া এক কর্মকর্তা জানান, পুরো বাংলাদেশে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের বিনিয়োগ প্রায় ৬৫ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে ৪৫ হাজার কোটি টাকা এস আলম গ্রুপ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে। শুধু চট্টগ্রাম অঞ্চলেই বিনিয়োগ করা হয় ৩৫ হাজার কোটি টাকা। যেগুলো এখন অনাদায়ী। কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া ব্যাংকটির সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও খাতুনগঞ্জ শাখার ব্যবস্থাপক মো. মোস্তফা কামাল বলেন, জনগণের আমানত গ্রহণ করে আমরা অন্যত্র বিনিয়োগ করি। যদি বিনিয়োগের টাকা সময়মতো আদায় করতে না পারি, তাহলে যারা ডিপোজিট করেছে তাদের টাকা সময়মতো ফেরত দিতে পারি না। বিনিয়োগের টাকা আদায় না হওয়ায় এখন একটি সংকট সৃষ্টি হয়েছে। টাকা আদায়ের জন্য এ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, এটা এখন জাতীয় সংকট। সংকট সমাধানে আমাদের সবচেয়ে বড় গ্রাহক এস আলম গ্রুপ। এই গ্রাহকসংশ্লিষ্ট যে বিনিয়োগগুলো আছে তা আদায়ের জন্য প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশে আজ আমরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করছি। বিনিয়োগের সময় যাচাইবাছাই ছাড়া একটি গ্রুপকে কেন এত টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছিল এমন প্রশ্নের জবাবে মোস্তফা কামাল বলেন, দেশের বর্তমান পরিস্থিতির সাথে আগের পরিস্থিতি এক ছিল না। ম্যানেজার কিংবা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঠিকভাবে যাচাইবাছাই করার সুযোগ ছিলো না।

ব্যাংকের আরেক শাখা ব্যবস্থাপক বলেন, আামদের ডিপোজিটারদের বড় একটি অংশ আমরা বিনিয়োগ করে ফেলেছি। তাদের টাকা ফেরত দেয়ার দায়বদ্ধতার কারণেই আমরা এখানে দাঁড়িয়েছি। গ্রাহকরা যখন জানতে পেরেছেন তাদের টাকাগুলো সুরক্ষিত নয় তখন তারা তখন একসঙ্গে এসে ডিপোজিট উঠিয়ে নেওয়ার জন্য চাইছেন। কিন্তু একসঙ্গে এত টাকা কোনো ব্যাংকের পক্ষে ফেরত দেওয়া সম্ভব নয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধনেচার সাময়িকীর শীর্ষ দশে অধ্যাপক ইউনূস
পরবর্তী নিবন্ধপ্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় দখলকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে