আগের নিয়ম অনুযায়ী, এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বে জায়গা করে নিতে প্লে অফ খেলার কথা ছিল বাংলাদেশের। তবে হঠাৎ করেই সুসংবাদ পেলেন জামাল ভূঁইয়ারা। অর্থাৎ, বাছাইপর্বে সরাসরিই সুযোগ পাচ্ছে বাংলাদেশ। বুধবার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে ওমানের কাছে হেরে ২০২২ কাতার বিশ্বকাপ ও ২০২৩ সালে অনুষ্ঠেয় এশিয়ান কাপ চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাইপর্ব শেষ করে বাংলাদেশ। ৮ ম্যাচে ৬ হার ও ২ ড্র নিয়ে ‘ই’ গ্রুপে সবার নিচে জামালরা। কিন্তু তা সত্ত্বেও এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বে খেলবেন তারা।
করোনা মহামারির কারণে বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপের বাছাইপর্ব থেকে নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছে উত্তর কোরিয়া। এ কারণে বাছাইপর্বে দলের সংখ্যা এখন ৩৯টি। অন্যদিকে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের পয়েন্টের ভিত্তিতে এএফসির তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ৩৫। বাছাইপর্বের দ্বিতীয় পর্ব শেষে পয়েন্টের ভিত্তিতে ১ থেকে ১৩ নম্বরে থাকা দলগুলো আগামী এশিয়ান কাপে সরাসরি খেলবে। আর ১৪ থেকে ৩৫তম স্থানে থাকা দলগুলো সরাসরি খেলবে বাছাইপর্বে। আসলে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ড্র করায় কপাল খুলেছে বাংলাদেশের। বাছাইপর্বে সরাসরি সুযোগ হওয়ায় আরও অন্তত ৬টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলবে লাল-সবুজের জার্সিধারীরা। বাছাইপর্বে সরাসরি সুযোগ না পাওয়া ৩৬ থেকে ৩৯তম স্থানে থাকা দলগুলো আবার খেলবে প্লে অফে। সেখান থেকে বিজয়ী দুই দল যোগ দেবে ১৪তম থেকে ৩৫তম স্থানে থাকা দলগুলোর সঙ্গে। আগামী ২৪ সেপ্টেম্বরে শুরু হবে এশিয়ান কাপের বাছাইপর্ব। ২৪টি দল বিভিন্ন ভাগে ভাগ হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। এশিয়ান কাপে সরাসরি সুযোগ পাওয়া ১৩টি দেশ: কাতার, সিরিয়া, ওমান, ইরান, চীন, ইরাক, ভিয়েতনাম, লেবানন, অস্ট্রেলিয়া, সৌদি আরব, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত। এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বে সরাসরি সুযোগ পাওয়া ২২ দেশ: বাংলাদেশ, ভারত, জর্ডান, ফিলিস্তিন, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন, কিরগিজস্তান, তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান, কুয়েত, বাহরাইন, তুর্কমিনিস্তান, সিঙ্গাপুর, মঙ্গোলিয়া, আফগানিস্তান, হংকং, মালদ্বীপ, শ্রীলংকা, নেপাল, ইয়েমেন, থাইল্যান্ড ও মিয়ানমার।