আর্চারিতে হতাশার দিন পার করতে হয়েছে বাংলাদেশকে। দলগত ছয় ইভেন্টের মধ্যে পাঁচ ইভেন্টেই প্রি–কোয়ার্টার থেকে বিদায় নিয়েছে বাংলাদেশ। শুধু পুরুষ দলগত ইভেন্টের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছেন রোমান সানা, রুবেল ও সাগর। নির্ধারিত চার সেটে সমান ৪–৪ সেট পয়েন্ট ছিল। শুট অফে বাংলাদেশের তিন আর্চার রোমান সানা, সাগর ও রুবেল ত্রিশের মধ্যে ২৮ স্কোর করেন। ভিয়েতনামের আর্চাররা ২৫ স্কোর করায় বাংলাদেশ রিকার্ভ পুরুষ দল কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে। আজ থাইল্যান্ডের বিপক্ষে খেলবেন রোমানরা। রিকার্ভ পুরুষ দলগত ছাড়া বাকি পাঁচ দলগত ইভেন্টেই হেরেছে বাংলাদেশ। রিকার্ভ মিশ্র ইভেন্টে দিয়া সিদ্দিকী ও সাগর ইসলাম ৫–৩ সেট পয়েন্টে হারেন। রিকার্ভ মিশ্রের চেয়ে কম্পাউন্ড মিশ্রের বিদায়টি অবশ্য বেশ কষ্টকর। বন্যা আক্তার ও মোহাম্মদ আশিকুজ্জামান জুটি প্রথম তিন সেটে ১১৬–১১৪ পয়েন্টে এগিয়ে ছিলেন। চতুর্থ ও শেষ সেটে ছিটকে যান তারা। শেষ সেটে ভিয়েতনামের দুই আর্চার পুরো ৪০ স্কোর করেন। বাংলাদেশের বন্যা ও আশিক ৩৮ করলেও টাই হতো। তারা ৩৭ করায় ১৫৩–১৫৪ স্কোরে পরাজিত হন। কম্পাউন্ড পুরুষ দলগত ইভেন্টের প্রথম তিন রাউন্ডে সমান পয়েন্ট থাকলেও শেষ রাউন্ডে দুই পয়েন্টে পিছিয়ে পড়ায় মালয়েশিয়ান জুটির কাছে ২৩১–২২৯ পয়েন্টে হেরেছে বাংলাদেশ। কম্পাউন্ড পুরুষ দলগত ইভেন্টে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন আশিকুজ্জামান, মিঠু ও সোহেল রানা। কম্পাউন্ড পুরুষ দলগত ইভেন্টের মতো নারী দলগত ইভেন্টেও বিদায় নিয়েছে বাংলাদেশ। বন্যা আক্তার, শ্যামলী ও পুষ্পিতা জামানকে নিয়ে গঠিত কম্পাউন্ড নারী দল প্রথম দুই সেটেই দশ পয়েন্টে পিছিয়ে পড়ে। তৃতীয় সেটে তিন পয়েন্টের ব্যবধানে জিতলেও চতুর্থ সেটে ৫৪–৫৪ পয়েন্টে ড্র হওয়ায় এই দলগত ইভেন্টেও প্রি–কোয়ার্টার থেকে বিদায় হয় বাংলাদেশের। নারী রিকার্ভ দলগত ইভেন্টে প্রতিদ্বন্দ্বিতাই করতে পারেনি বাংলাদেশ। চাইনিজ তাইপের বিপক্ষে ৫–১ সেট পয়েন্টে হেরেছেন দিয়া–নিশো ও শিমু। প্রথম দুই সেট পরাজয়ে হার অনেকটাই নিশ্চিত হয়। ম্যাচে টিকে থাকতে তৃতীয় সেটে জয়ের বিকল্প ছিল না। তৃতীয় সেট ৫৭–৫৭ পয়েন্টে ড্র হওয়ায় বাংলাদেশ এই ইভেন্টেও বিদায় নেয়।
