এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনের (এইউডব্লিউ) ট্রাস্টি বোর্ডের তিনদিনব্যাপী বার্ষিক সভা আগামীকাল থেকে শুরু হচ্ছে। এই সভাকে ঘিরে পৃথিবীর নানা দেশের বিখ্যাত সব মানুষ চট্টগ্রামে আসতে শুরু করেছেন। গতকাল ঢাকায় এসে পৌঁছেছেন মার্কিন ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামার সাবেক চিফ অব স্টাফ এবং ওবামা ফাউন্ডেশনের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মিসেস টিনা চেন। আজ তিনি চট্টগ্রামে এসে পৌঁছাবেন এবং কাল থেকে তিনদিন চট্টগ্রামে অবস্থান করবেন।
এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনের (এইউডব্লিউ) ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিতব্য বৈঠকে যোগ দেয়ার জন্য ইতোমধ্যে চট্টগ্রামে এসে পৌঁছেছেন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এনডোমেন্টে টানা ১৫ বছর ধরে নেতৃত্ব দেয়া মি. জ্যাক মেয়ার, কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউরোবায়োলজির অধ্যাপক টিম ডিভোগড, অস্ট্রেলিয়ার বিশিষ্ট অবকাঠামো আইনজীবী অ্যাডলিন প্যাং, ভার্জিনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও বিজ্ঞান অনুষদের সাবেক ডিন এবং সুইট ব্রায়ার কলেজের প্রাক্তন সভাপতি ড. মেরেডিথ উ’সহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে বিখ্যাত সব শিক্ষাবিদ এবং সেলিব্রেটিরা। ট্রাস্টি বোর্ডের বৈঠকে পরিচালনা করবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. রুবানা হক।
এবারকার ট্রাস্টি বোর্ডে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসের উন্নয়ন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে। বিশ্বের খ্যাতিমান স্থপতি মোশে সাফদির ডিজাইন করা এবং ফাস্ট রিটেইলিং ফাউন্ডেশন অফ জাপানসহ কয়েকটি সংস্থার অর্থায়নে এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনের স্থায়ী ক্যাম্পাসের বড় ভবনটির নির্মাণকাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। এই ভবনটিকে প্রিটজকার পুরস্কারের জন্য উপস্থাপন করা হবে। প্রিটজকার পুরস্কার বিজয়ী ইতালীয় স্থপতি সিনেটর রেনজো পিয়ানো ক্যাম্পাসের পরবর্তী কয়েকটি ভবনের নকশা করছেন। দশ লাখ বর্গফুটের ‘বিল্ডিং সেটের’ নকশা প্রণয়নকালে বনায়ন এবং প্রকৃতিকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। স্থপতি সাফদি এবং পিয়ানো পুরো ক্যাম্পাসকে নান্দনিকতায় ভরিয়ে তুলতে প্রকৃতি বিধ্বংসী কোনো কাজই করছে না, বরং খালকে খালের জায়গায় এবং পাহাড়কে পাহাড়ের জায়গায় রেখে ক্যাম্পাসের নকশা প্রণয়ন করছেন। এই ক্যাম্পাসে কার্বণ নিঃসরণের পরিমাণ শূণ্যতে নামিয়ে রাখার ব্যাপারেও ট্রাস্টি বোর্ডে আলোচনা হবে। ফৌজদারহাট বায়েজিদ লিংক রোড সংলগ্ন ক্যাম্পাসে গত দুই বছরে ৫০ হাজারেরও বেশি গাছের চারা লাগানো হয়েছে।