এল্‌ভিস প্রেস্‌লি : বিংশ শতাব্দীর সাংস্কৃতিক আইকন

| শনিবার , ১৬ আগস্ট, ২০২৫ at ৬:০২ পূর্বাহ্ণ

 

এল্‌ভিস প্রেস্‌লি (১৯৩৫১৯৭৭)। তিনি একজন মার্কিন রক সঙ্গীতশিল্পী ও অভিনেতা। তিনি বিংশ শতাব্দীর অন্যতম উল্লেখযোগ্য সাংস্কৃতিক আইকন হিসাবে বিবেচিত, তাকে ‘কিং অব রক অ্যান্ড রোল’ বলা হয়। এলভিস প্রেসলি ১৯৩৫ খ্রিষ্টাব্দের ৮ ই জানুয়ারি আমেরিকার মিসিসিপ্পি রাজ্যের টুপেলোতে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম ভ্যারন এলভিস এবং মায়ের নাম লাভ প্রিসলি। রেকর্ড সংগীতের ইতিহাসে প্রেসলি সর্বাধিক বিক্রিত একক শিল্পী। তিনি বাণিজ্যিকভাবে পপ, দেশিয়, ব্লুজ এবং গসপেল সহ অনেকগুলি ঘরানার সঙ্গীতে বাণিজ্যিকভাবে সফল ছিলেন।

১৯৫৪ খ্রিষ্টাব্দে সান রেকর্ডস নামে একটি সংগীত বিষয়ক প্রতিষ্ঠানে গান গাওয়ার মাধ্যমে তাঁর সংগীত জীবন শুরু করেন। গিটার বাদক স্কটি মুর ও বেজিস্ট বিল ব্ল্যাককে নিয়ে গঠিত প্রেসলির দ্য ব্লু মুন বয়েজ সঙ্গীতদল রক ও রোল, আপটেম্পো, কান্ট্রি সঙ্গীতে ব্যাকবিটড্রাইভেন ফিউশন এবং রিদম ও ব্লুজ সংগীতের অগ্রপথিক হিসেবে অবতীর্ণ হন। আরসিএ’র প্রকাশনায় প্রেসলির গাওয়া প্রথম একক গান ছিলো ‘হার্টব্রেক হোটেল’। এটি ১৯৫৬ খ্রিষ্টাব্দের জানুয়ারিতে প্রকাশিত হয়। গানটি প্রকাশিত হওয়ার পরপরই তা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টপচার্টের শীর্ষে স্থান করে নেয়। এরপরে তিনি টেলিভিশনে গান গায়তে শুরু করেন এবং অল্পকিছুদিনের মধ্যেই তার গান সেরা গানের তালিকার শীর্ষ স্থান দখল করে নেয় এবং তিনি সমকালীন গায়কদের মধ্যে সেরা বিবেচিত হন।

কণ্ঠশিল্পীর পাশাপাশি তিনি একজন চলচ্চিত্র অভিনেতাও ছিলেন। প্রিসলি অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্রের নাম ‘লাভ মি টেন্ডার’। ছবিটি ১৯৫৬ খ্রিষ্টাব্দের নভেম্বরে মুক্তি পায়। ১৯৫৮ খ্রিষ্টাব্দে তিনি বাধ্যতামূলকভাবে সেনাবাহিনীতে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। ২ বছর পর তিনি সেনাবাহিনী ছেড়ে আবার সংগীত জগতে ফিরে আসেন কিছু তুমুল জনপ্রিয় গানের মাধ্যমে।

১৯৬০ খ্রিষ্টাব্দে তিনি আবার হলিউডে ছবি বানানো এবং সংগীত পরিচালনা শুরু করেন কিন্তু তার এসব কাজ ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয়। ১৯৬৮ খ্রিষ্টাব্দে তিনি সাত বছর পর আবার স্টেজে গান গায়তে শুরু করেন। তার এ সময়ের করা ট্যুরগুলোও বাণিজ্যিকভাবে সফল হয় এবং সাথে সাথে প্রচুর জনপ্রিয়তাও পায়। তিনি ১৯৭৭ খ্রিষ্টাব্দের ১৬ই আগস্ট হঠাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধএই দিনে
পরবর্তী নিবন্ধচট্টগ্রাম শহরে খোলা নালাগুলো দ্রুত সংস্কার করা হোক